যুক্তরাজ্যে বৃত্তি ও পড়ালেখার সুযোগ, কী বলছে ব্রিটিশ কাউন্সিল
Published: 21st, September 2025 GMT
২০২৫ সালের কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি এবং শীর্ষ ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি যুক্তরাজ্যে অবস্থিত। আর টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০-এর মধ্যে তিনটিই যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার মান, নতুন গবেষণা ও খ্যাতনামা শিক্ষকের কারণেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সারা বিশ্বে সুপরিচিত। এ কারণেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করে শিক্ষার্থীরা বিশ্বব্যাপী সহজে চাকরি পেতে পারেন। কিউএস গ্র্যাজুয়েট এমপ্লয়াবিলিটি র্যাঙ্কিং ও ইউনিভার্সিটিজ ইউকে ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনের অনুযায়ী, শতকরা ৮৩ ভাগ আন্তর্জাতিক স্নাতক বলছেন, যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি তাঁদের চাকরি পেতে সাহায্য করেছে। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বাস্তব ও চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয় বেশি। এটিই শিক্ষার্থীদের বিশ্বজুড়ে চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত করে। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শুধু বই বা ক্লাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং একটি প্রাণবন্ত, বৈচিত্র্যময় সমাজের অভিজ্ঞতা দেয়।
আরও পড়ুননার্সিং পেশা কেন সম্ভাবনাময়, কী কী সুযোগ আছে৮ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে পড়াশোনার খরচ একটি বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তবে যুক্তরাজ্য বিভিন্ন বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা দেয়, যা খরচ কমাতে সাহায্য করে। আংশিক অর্থায়ন থেকে শুরু করে পূর্ণ অর্থায়নও আপনি পেতে পারেন। পড়ালেখা থেকে শুরু করে বসবাস, যুক্তরাজ্যে যাওয়া-আসার বিমান খরচ, সবই পড়ে পূর্ণ অর্থায়নের অধীন।
যেসব স্নাতক যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর করতে ইচ্ছুক, তাঁরা গ্রেট স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই বৃত্তিটি বেশ জনপ্রিয়। বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে।
আরও তথ্যের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্টাডি ইউকে ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।
আরও পড়ুনচাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ইউরোপাস সিভি’, কীভাবে তৈরি করবেন১০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর জ য শ বব দ য ল ব শ বব দ য র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কপ-৩০ সম্মেলনের আগেই শাহবাগে টেকসই অর্থায়নের দাবি
কপ-৩০ সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থায়নের দাবি জানাতে এক ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবকদের নিয়ে ‘ফেয়ার ফাইন্যান্স নাও: বাংলাদেশ’স কল বিফোর কপ৩০’ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সেমিনার
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল প্রচেষ্টা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, আমরাই আগামী এবং শাওন মাইম একাডেমি।
ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা প্রদর্শনী এবং মাইম পরিবেশনার মাধ্যমে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়। যুব অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও সৃজনশীল বার্তার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়নপথে যেতে বছরে ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে দেশটি এর কম ১১ শতাংশ অর্থায়ন পাচ্ছে। ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামো না থাকলে জলবায়ু অভিযোজনের দায় ও ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর।
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোসলে উদ্দিন সূচক গণমাধ্যমে বলেন, “জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দান নয়- এটি ন্যায্যতার প্রশ্ন। যে সঙ্কট বাংলাদেশ তৈরি করেনি, তার আর্থিক ঝুঁকি বহন করে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই অর্থায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা এবং কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশে জন্য সহজলভ্য, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নের দাবিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরা।”
অনুষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাত, এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের মাধ্যমে শেষ করা হয়, যাতে বাংলাদেশ একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং টেকসই অর্থনীতির পথে অগ্রসর হতে পারে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী