Prothomalo:
2025-11-08@15:12:42 GMT

এবার রাশিয়াকে ন্যাটোর হুমকি

Published: 23rd, September 2025 GMT

সদস্যদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মতো উত্তেজনাপূর্ণ কর্মকাণ্ড বন্ধে রাশিয়াকে সতর্ক করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। আজ মঙ্গলবার রাশিয়াকে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছে তারা। এর আগে গত সপ্তাহে এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় একটি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ার ঘটনায় জরুরি বৈঠক করেছিল ন্যাটো।

ন্যাটোভুক্ত ৩২টি সদস্যদেশ এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে দায়ী। এটি উত্তেজনা বাড়ায়, ঝুঁকি সৃষ্টি করে এবং প্রাণহানি ঘটাতে পারে। এসব অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে রাশিয়ার কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে ন্যাটো ও তার মিত্ররা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজেদের রক্ষা করতে এবং যেকোনো ধরনের হুমকি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সামরিক ও বেসামরিক উপায় ব্যবহার করবে।

আরও পড়ুনপোল্যান্ডের আকাশে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য বিমানবাহিনীর জেট২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত শুক্রবার রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সশস্ত্র যুদ্ধবিমান প্রায় ১২ মিনিটের জন্য আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এস্তোনিয়ার সীমান্তে ঢুকে যায়। এরপরই ন্যাটোর প্রতিষ্ঠা চুক্তির ৪ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি পরামর্শ সভা আহ্বান করে দেশটি। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনে হামলার সময় পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে রাশিয়ার ড্রোন। তবে পোল্যান্ডের সেনাবাহিনী ড্রোনগুলো ভূপাতিত করেছে।

পোল্যান্ডে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো থেকে আসা হুমকি মোকাবিলায় পূর্ব সীমান্তের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দেয় ন্যাটো। দুই পক্ষের উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ভয় হচ্ছে যে এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ন্যাটোর সীমান্ত অতিক্রম করতে পারে।

পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার পাশাপাশি লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও ফিনল্যান্ডসহ পূর্ব সীমান্তের অন্য দেশগুলোও সম্প্রতি তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মুখোমুখি হয়েছে। ন্যাটোর বিবৃতিতে সদস্যদেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মিত্ররা রাশিয়ার এই কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কারণে ইউক্রেনকে সমর্থনের প্রতি তাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতিতে কোনোভাবে বিচলিত হবে না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কপ-৩০ সম্মেলনের আগেই শাহবাগে টেকসই অর্থায়নের দাবি

কপ-৩০ সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থায়নের দাবি জানাতে এক ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবকদের নিয়ে ‘ফেয়ার ফাইন্যান্স নাও: বাংলাদেশ’স কল বিফোর কপ৩০’ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সেমিনার

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা

প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল প্রচেষ্টা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, আমরাই আগামী এবং শাওন মাইম একাডেমি।

ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা প্রদর্শনী এবং মাইম পরিবেশনার মাধ্যমে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়। যুব অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও সৃজনশীল বার্তার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়নপথে যেতে বছরে ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে দেশটি এর কম ১১ শতাংশ অর্থায়ন পাচ্ছে। ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামো না থাকলে জলবায়ু অভিযোজনের দায় ও ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর।

পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোসলে উদ্দিন সূচক গণমাধ্যমে বলেন, “জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দান নয়- এটি ন্যায্যতার প্রশ্ন। যে সঙ্কট বাংলাদেশ তৈরি করেনি, তার আর্থিক ঝুঁকি বহন করে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই অর্থায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা এবং কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশে জন্য সহজলভ্য, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নের দাবিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরা।”

অনুষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাত, এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের মাধ্যমে শেষ করা হয়, যাতে বাংলাদেশ একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং টেকসই অর্থনীতির পথে অগ্রসর হতে পারে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ