জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, “আমরা বেপরোয়া বিশৃঙ্খলা এবং অবিরাম মানবিক দুর্ভোগের যুগে প্রবেশ করেছি। চারপাশে তাকান। জাতিসংঘের যে নীতিগুলো আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা অবরুদ্ধ। শুনুন। শান্তি ও অগ্রগতির স্তম্ভগুলো দায়মুক্তি, বৈষম্য এবং উদাসীনতার ভারে নুয়ে পড়ছে।

মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।

গুতেরেস তার ভাষণে বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক সংঘাতের কথা উল্লেখ করেছেন, প্রথমে সুদানের যুদ্ধ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে গাজার যুদ্ধের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন, যা এই বছরের সাধারণ বিতর্ককে সংজ্ঞায়িত করবে।

তিনি বলেছেন, “গাজায় ভয়াবহতা তৃতীয় ভয়াবহ বছরের দিকে এগিয়ে আসছে। এগুলো মৌলিক মানবতাকে অবজ্ঞা করে এমন সিদ্ধান্তের ফলাফল। মহাসচিব হিসেবে আমার কর্ম বছরগুলোতে মৃত্যু এবং ধ্বংসের মাত্রা অন্য যেকোনো সময়ের সংঘাতের চেয়েও বেশি।”

গুতেরেস এমন সময় ভাষণ দিচ্ছেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আবারো জাতিসংঘে তহবিল কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া গাজা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার নিয়মিত ভেটো দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

গুতেরেস সাধারণ পরিষদের সদস্যদের প্রশ্ন করেন, “আমরা একসাথে কোন ধরনের বিশ্ব গড়ে তুলতে চাই, মহামান্যরা? আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কারণ সেই কাজ সম্পাদনের ক্ষমতা আমাদের কাছ থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমরা বেপরোয়া বিশৃঙ্খলা ও অবিরাম মানবিক দুর্ভোগের এক যুগে প্রবেশ করেছি। চারপাশে তাকান। জাতিসংঘের যে নীতিগুলো আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা অবরুদ্ধ। শুনুন। শান্তি ও অগ্রগতির স্তম্ভগুলি দায়মুক্তি, বৈষম্য ও উদাসীনতার ভারে নুয়ে পড়ছে।”

তিনি আরো বলেন, “সার্বভৌম জাতিগুলো আক্রমণ করেছে, ক্ষুধা অস্ত্রে পরিণত হয়েছে, সত্যকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে, বোমা বিধ্বস্ত শহরগুলো থেকে ধোঁয়া উঠছে, ভাঙা সমাজগুলোতে ক্রমবর্ধমান ক্রোধ, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূলরেখা ফুলে উঠেছে, প্রতিটি একটি সতর্কতা, প্রতিটি একটি প্রশ্ন – আমরা কোন ধরণের পৃথিবী বেছে নেব?”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যাঁকে সিনেমার বাইরেও ‘ভিলেন’ বলে মনে করতেন সবাই

নায়ক নয়, খলনায়ক হিসেবেই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এক সময় পর্দায় তাঁর মুখ দেখলেই দর্শকের গা শিউরে উঠত। বলিউডের সেই কিংবদন্তি খলনায়ক প্রেম চোপড়া আজ ৯০–এ পা দিলেন।  
প্রেম চোপড়া ৪০০-রও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর সংলাপ ও চরিত্র আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মের দর্শকের মুখে মুখে ফেরে।

শুরুর সংগ্রাম
১৯৬১ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন প্রেম চোপড়া। ছোটবেলায় চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তাঁর বাবা। কিন্তু স্নাতক হওয়ার পর তিনি মুম্বাই পাড়ি জমান অভিনেতা হওয়ার উদ্দেশ্যে। শুরুতে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই চলচ্চিত্রে আসেন, কিছু পাঞ্জাবি ছবিতেও নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে হিন্দি ছবিতে নায়ক হিসেবে সেভাবে সাফল্য পাননি। ধীরে ধীরে খলনায়ক চরিত্রে প্রস্তাব আসতে শুরু করে, আর তাতেই ঘটে মোড় ঘোরা।

প্রেম চোপড়া। ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ