প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ড। স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে এ সাক্ষাৎ হয়।

এ অনুষ্ঠানের ফাঁকে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনও অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।

নিউইয়র্ক সময় সোমবার বেলা তিনটায় এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন উইয়র ক

এছাড়াও পড়ুন:

মামদানিপত্নী কে এই রমা, কীভাবে তাঁদের প্রেম–পরিণয়

রমা দুওয়াজি—ইতিহাস গড়ে নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচিত হওয়া জোহরান মামদানির স্ত্রী। জোহরান নির্বাচনে জিতে যতটা পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন, ঠিক ততটাই মানুষ ও সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে এসেছেন রমা নিজেও।

সব ঠিক থাকলে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি শপথ নেবেন জোহরান মামদানি। তিনি হবেন নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম, ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জন্ম নেওয়া এবং ১৮৯২ সালের পর সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র। একই সঙ্গে রমা হবেন নিউইয়র্কের ফার্স্ট লেডি।

রমার বয়স ২৮ বছর। পেশায় শিল্পী। অ্যানিমেশন ও ইলাস্ট্রেশনের কাজ করেন তিনি। সিরীয় অভিবাসী পরিবারে তাঁর জন্ম। রমার ওয়েবসাইটে বলা আছে, তাঁর কাজ বেশির ভাগ ডিজিটাল মাধ্যমে দেখা যায়। ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইয়র্কারসহ বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যমগুলোয় তাঁর কাজ প্রকাশিত হয়ে আসছে।

আরও পড়ুনমেয়র নির্বাচনে জয়ের পর এবার আসল চ্যালেঞ্জের মুখে মামদানি১৬ ঘণ্টা আগে

গত এপ্রিলে ওয়াইইউএসজিতে এক সাক্ষাৎকারে রমা বলেছিলেন, তাঁর শৈল্পিক কাজগুলো মূলত গভীর আবেগের বহিঃপ্রকাশ। ‘আজকাল আমি আমার অভিজ্ঞতা ও পছন্দের বিষয় নিয়ে শিল্পসৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেছি,’ বলেন রমা।

১৯৯৭ সালের ৩০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে জন্ম রমার। নিউইয়র্ক টাইসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরীয় মা–বাবার সঙ্গে রমা মাত্র ৯ বছর বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাড়ি জমান।

আরও পড়ুনমামদানির বিজয় ভাষণ শেষে মঞ্চে বাজল ‘ধুম মাচালে’০৫ নভেম্বর ২০২৫

পরে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরেন রমা। ভর্তি হন ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে অবস্থিত ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করেছেন রমা। লেবানন ও ফ্রান্সে শিল্পীদের জন্য নির্ধারিত আবাসেও ছিলেন তিনি।

২০২১ সালে রমা নিউইয়র্কে থিতু হন। ভর্তি হন নিউইয়র্ক স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসে। সেখান থেকে ২০২৪ সালে তিনি ফাইন আর্টসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এক সমাবেশমঞ্চে জোহরান মামদানি ও রমা দুওয়াজি। ব্রুকলিন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ৪ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কের মেয়রের নতুন ঠিকানা কি গ্রেসি ম্যানশন
  • এক কক্ষের বাড়ি থেকে ‘রাজপ্রাসাদে’
  • জোহরান মামদানি কেন নিজ এলাকা কুইন্সে কম ভোট পেলেন
  • কারো চোখে পানি, ফেলছেন স্বস্তির শ্বাস: মামদানির জয়ে কী বললেন গার্ডিয়ানের পাঠকেরা
  • যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা ম্লান হলো মাত্র দুই দিনেই
  • মামদানি একই সঙ্গে ভারতের গর্ব, আবার মোদির মতো নেতাদের কঠোর সমালোচক
  • ‘মামদানি মডেল’ কি নিউইয়র্কের বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে
  • ‘সালাম বম্বে!’, থেকে ‘মুনসুন ওয়েডিং’, মামদানির মাকে কতটা চেনেন
  • ট্রাম্প–মামদানি কি সমানে সমান
  • মামদানিপত্নী কে এই রমা, কীভাবে তাঁদের প্রেম–পরিণয়