রাশিয়ার দখলে থাকা অব অঞ্চল ফিরে পেতে পারে ইউক্রেন: ট্রাম্প
Published: 24th, September 2025 GMT
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ফের সুর বদলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার হঠাৎ করেই ইউক্রেনের সমর্থনে কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা নিজেদের সব অঞ্চল ফিরে পেতে পারে কিয়েভ।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পর নিউইয়র্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
রাশিয়ার বিরুদ্ধে এবার রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ
আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে রুশ ড্রোন ধ্বংস করল পোল্যান্ড
এর আগে তিনি বারবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধ থামাতে হলে ইউক্রেনকে হয়তো কিছু ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। কিন্তু এবার তিনি বলছেন, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে, কিয়েভ তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে। ট্রাম্পের মতে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সমর্থনে ইউক্রেন তা অর্জন করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে রাশিয়াকে ‘কাগজের বাঘ’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “পুতিন ও রাশিয়া ভয়াবহ অর্থনৈতিক সমস্যায় রয়েছে। এখন ইউক্রেনেরই সময়।”
পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জানার এবং সম্পূর্ণরূপে বোঝার পর এবং এর ফলে রাশিয়া যে অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ছে তা দেখার পর, আমার মনে হয় ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায়, যুদ্ধ করার অবস্থানে আছে। তাদের সাহায্যে ইউক্রেন তার আসল রূপে ফিরে আসতে পারে।”
ট্রাম্পের মতে, ‘কাগজের বাঘের মতো’ কোনো রকম লক্ষ্য ছাড়াই লড়াই করছে রাশিয়া। তিনি বলেন, “রাশিয়া সাড়ে তিন বছর ধরে লক্ষ্যহীনভাবে লড়াই করে আসছে। এমন একটি যুদ্ধ যেখানে জিততে প্রকৃত সামরিক শক্তির এক সপ্তাহেরও কম সময় লেগেছিল। তা রাশিয়াকে আলাদা করে দেখাচ্ছে না। আসলে, তা তাদেরকে ‘কাগুজে বাঘ’ দেখাচ্ছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “রাশিয়া এবং ভ্লাদিমির পুতিন বড় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তাদের বেশিরভাগ অর্থ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। এই অবস্থা ইউক্রেন তাদের দেশকে তার আসল রূপে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হবে এবং কে জানে, এমনকি আরো এগিয়ে যেতে পারে! এখন ইউক্রেনের পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। যাই হোক না কেন, আমি উভয় দেশের মঙ্গল কামনা করি। আমরা ন্যাটোকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাব যাতে ন্যাটো তাদের সঙ্গে যা চায় তা করতে পারে।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
কপ-৩০ সম্মেলনের আগেই শাহবাগে টেকসই অর্থায়নের দাবি
কপ-৩০ সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থায়নের দাবি জানাতে এক ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবকদের নিয়ে ‘ফেয়ার ফাইন্যান্স নাও: বাংলাদেশ’স কল বিফোর কপ৩০’ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সেমিনার
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল প্রচেষ্টা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, আমরাই আগামী এবং শাওন মাইম একাডেমি।
ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা প্রদর্শনী এবং মাইম পরিবেশনার মাধ্যমে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়। যুব অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও সৃজনশীল বার্তার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়নপথে যেতে বছরে ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে দেশটি এর কম ১১ শতাংশ অর্থায়ন পাচ্ছে। ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামো না থাকলে জলবায়ু অভিযোজনের দায় ও ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর।
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোসলে উদ্দিন সূচক গণমাধ্যমে বলেন, “জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দান নয়- এটি ন্যায্যতার প্রশ্ন। যে সঙ্কট বাংলাদেশ তৈরি করেনি, তার আর্থিক ঝুঁকি বহন করে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই অর্থায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা এবং কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশে জন্য সহজলভ্য, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নের দাবিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরা।”
অনুষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাত, এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের মাধ্যমে শেষ করা হয়, যাতে বাংলাদেশ একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং টেকসই অর্থনীতির পথে অগ্রসর হতে পারে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী