নাসা গ্রুপে বকেয়া বেতন পরিশোধে সমঝোতা, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব পরিশোধ করতে হবে
Published: 24th, September 2025 GMT
নাসা গ্রুপের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধে সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। গতকাল শ্রম ভবনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সভাকক্ষে শ্রমিক, মালিক ও সরকারের মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সমঝোতা চুক্তি অনুসারে, কারখানার কর্তৃপক্ষ আগামী ১৫ অক্টোবর আগস্ট মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাদি (মজুরি) এবং আগামী ৩০ অক্টোবর সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাদি (মজুরি) পরিশোধ করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক পূর্ণ বছর চাকরির জন্য ৩০ দিনের মূল মজুরি ও মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা পরিশোধ করা হবে। খবর বিজ্ঞপ্তি।
আরও বলা হয়েছে, শ্রমিকদের এসব যাবতীয় আইনানুগ পাওনা আগামী ৩০ নভেম্বর পরিশোধ করা হবে। কোনো শ্রমিককে ইন্টারনেট/ডেটাবেজে কালো তালিকাভুক্ত করা যাবে না।
শ্রম, কর্মসংস্থান ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় নাসা গ্রুপের শ্রম অসন্তোষ নিরসনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের (যুগ্ম সচিব) সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শ্রমিক প্রতিনিধি, কারখানা কর্তৃপক্ষ, সরকারপক্ষ এবং বিজিএমইএর প্রতিনিধিরা সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এ সময় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বিজিএমইএর সহসভাপতি, নাসা গ্রুপের প্রতিনিধি এবং শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমঝ ত
এছাড়াও পড়ুন:
তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে বৈঠক করেছে। এতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়ার চেষ্টা করে আইএমএফের প্রতিনিধিদল।
পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ বুধবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিএমইএর নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, রশিদ আহমেদ হোসাইনী প্রমুখ। অন্যদিকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কিয়াও চেন, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রুইফেং ঝাং ও অর্থনীতিবিদ আয়া সাইদ।
উভয় পক্ষের আলোচনায় পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রভাব, শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজিত পণ্য বৈচিত্র্যকরণের কৌশল গুরুত্ব পায়। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্ভাব্য প্রভাব, ব্যবসায়ের পরিচালন ব্যয় কমানো ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য করণীয় বিষয়েও আলোচনা হয়।
আইএমএফের প্রতিনিধিদের কাছে জাতীয় অর্থনীতিতে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদানসহ শিল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিজিএমইএর নেতারা। তাঁরা শিল্পের কৌশলগত রূপকল্প তুলে ধরে জানান, পোশাকশিল্প বর্তমানে শ্রমনির্ভর মডেল থেকে বেরিয়ে এসে মূল্য সংযোজিত পণ্য, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে কৃত্রিম তন্তু ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইলভিত্তিক পোশাক তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, তাঁদের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার উন্নয়ন, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজীকরণ, সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্কসুবিধা বজায় রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ), যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সই করার বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।