আট দফা দাবিতে কবি নজরুল সরকারি কলেজ বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন ইউনিট মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় তারা রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাত কলেজে উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষার সংকোচন, কলেজ কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের আশঙ্কার প্রতিবাদ জানান।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজের সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি

পোষ্য কোটা চান না রাবির অনেক শিক্ষক

মানববন্ধনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “কবি নজরুল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। আমরা এখানকার অংশীজন। সাতটি কলেজে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ১ হাজার ৪০০ পদ রয়েছে। যদি আমাদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তবে এসব পদ রক্ষিত থাকবে কি না সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। এতে প্রমোশনের ক্ষেত্রেও জটিলতা আরও বাড়বে।”

গণিত বিভাগের প্রভাষক আবু তাহের বলেন, “বর্তমান ব্যবস্থায় প্রতিটি কলেজে বহু বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পড়ানো হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত অনুষদভিত্তিক কাঠামো চালু হলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সংকুচিত হবে। এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবে এবং শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণের ঝুঁকি তৈরি হবে।”

মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাত কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো পরিবর্তন করে অনুষদ বা স্কুলে রূপান্তর করা যাবে না; কলেজের লোগোসহ স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পত্তি কলেজের নামেই অক্ষুণ্ন রাখতে হবে; সাত কলেজকে পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করে কোনো পরীক্ষামূলক বিশ্ববিদ্যালয় মডেল চাপানো যাবে না।

অন্য দাবিগুলো হলো- বিদ্যমান কোনো বিষয় বাদ দেওয়া যাবে না, বিশেষত আরবি ও ইসলাম শিক্ষা; উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে না; নারী শিক্ষার সুযোগ সংকোচন বন্ধ করতে হবে, বিশেষত ইডেন মহিলা ও বদরুন্নেসা কলেজের ক্ষেত্রে; কর্মরত কোনো কর্মচারীর চাকরি বা স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা যাবে না; সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের আগে সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রিভিউ কমিটির মাধ্যমে যাচাই করতে হবে।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স এস কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নবাসী। আজ সোমবার বেলা ১টা থেকে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ভাঙ্গার সুয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। এতে দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষসহ ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। কর্মসূচিটি আয়োজন করে ‘অখণ্ড ভাঙ্গা রক্ষা কমিটি’।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন ও হান্নান মাতুব্বর। তাঁরা বলেন, প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল রোববার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ওই দুই ইউনিয়নকে পুনরায় ফরিদপুর-৪ আসনে রাখার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ঘোষণার প্রতি আস্থা রেখে আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে অব্যাহত থাকবে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ, খেটে খাওয়া মানুষের নামে হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে, যা অমানবিক। তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়া আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক ও অন্যদের মুক্তির দাবি জানান।

হামিরদী ইউনিয়নের মাঝিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। প্রশাসন আমাদের কথা শুনেছে, তাই আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি। থানায় হামলার পর এলাকায় ভয়ে কেউ ঘুমাতে পারেনি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছে, নির্দোষ কাউকে হয়রানি করা হবে না। আমরা সে ঘোষণার প্রতি আস্থা রাখতে চাই।’

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে আমাদের কোনো বাধা নেই। তাঁরা যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করেন, কাউকে বিরক্ত না করে কর্মসূচি পালন করেন, তাহলে বাধা দেওয়া হবে না।’ তিনি জানান, এ বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই আন্দোলনকারীরা রায় হওয়ার আগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, এমন কোনো কর্মসূচিতে যাবেন না বলে পুলিশ প্রশাসনকে কথা দিয়েছেন।

গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা হাইকোর্টের রায় না হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার আদেশ দেয়। এ বিষয়ে কেন আদেশটি অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। যার জবাব দেওয়ার জন্য হাইকোর্ট ১০ দিন সময় বেঁধে দেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমানসহ পাঁচজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভাঙ্গায় সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন
  • রাবিতে চলমান শাটডাউনে প্রতিবাদে শিবিরের মানববন্ধন
  • এবার সাত কলেজে একযোগে মানববন্ধন করলেন শিক্ষকেরা
  • মির্জাগঞ্জে দুই চিকিৎসকের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ
  • পাবনায় বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • রাবিতে বহাল থাকছে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের
  • রংপুরে সাংবাদিককে হেনস্থার প্রতিবাদে মানববন্ধন, থানায় মামলা
  • ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মানববন্ধন