নজরুল কলেজে বিসিএস অ্যাডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ৮ দাবিতে মানববন্ধন
Published: 24th, September 2025 GMT
আট দফা দাবিতে কবি নজরুল সরকারি কলেজ বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন ইউনিট মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় তারা রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাত কলেজে উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষার সংকোচন, কলেজ কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের আশঙ্কার প্রতিবাদ জানান।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজের সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি
পোষ্য কোটা চান না রাবির অনেক শিক্ষক
মানববন্ধনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “কবি নজরুল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। আমরা এখানকার অংশীজন। সাতটি কলেজে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ১ হাজার ৪০০ পদ রয়েছে। যদি আমাদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তবে এসব পদ রক্ষিত থাকবে কি না সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। এতে প্রমোশনের ক্ষেত্রেও জটিলতা আরও বাড়বে।”
গণিত বিভাগের প্রভাষক আবু তাহের বলেন, “বর্তমান ব্যবস্থায় প্রতিটি কলেজে বহু বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পড়ানো হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত অনুষদভিত্তিক কাঠামো চালু হলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সংকুচিত হবে। এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবে এবং শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণের ঝুঁকি তৈরি হবে।”
মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাত কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো পরিবর্তন করে অনুষদ বা স্কুলে রূপান্তর করা যাবে না; কলেজের লোগোসহ স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পত্তি কলেজের নামেই অক্ষুণ্ন রাখতে হবে; সাত কলেজকে পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করে কোনো পরীক্ষামূলক বিশ্ববিদ্যালয় মডেল চাপানো যাবে না।
অন্য দাবিগুলো হলো- বিদ্যমান কোনো বিষয় বাদ দেওয়া যাবে না, বিশেষত আরবি ও ইসলাম শিক্ষা; উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে না; নারী শিক্ষার সুযোগ সংকোচন বন্ধ করতে হবে, বিশেষত ইডেন মহিলা ও বদরুন্নেসা কলেজের ক্ষেত্রে; কর্মরত কোনো কর্মচারীর চাকরি বা স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা যাবে না; সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের আগে সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রিভিউ কমিটির মাধ্যমে যাচাই করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স এস কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল
সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান–সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, “এ ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান নিজেদের ইচ্ছেমতো সব কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”
এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও পরিচালনা কমিটিতে সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মিটিং করেছি৷
অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে বিক্রি করেছি। তবেমাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেই নি। বিক্রি করার পর গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটে নি।
উল্লেখ্য, গত (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে পঞ্চমীঘাট স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয় এক ভাঙ্গারীর পিক-আপ ভ্যানে নেয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।