বাড়ি নয় যেন সাত তারকা হোটেল! কী আছে ভেতরে
Published: 25th, September 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা ঋষি কাপুর ও নীতু সিংয়ের মেয়ে হিসেবেই বেশি পরিচিত রিদ্ধিমা কাপুর সাহনি। অনেকে তাঁকে চেনেন রণবীর কাপুরের বোন হিসেবেও। কিন্তু সম্প্রতি তিনি নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলেছেন, বিশেষ করে করণ জোহরের রিয়েলিটি শো ‘ফেবুলাস লাইভস ভার্সেস বলিউড ওয়াইফস’-এ অংশ নেওয়ার পর। শোতে তাঁর অভিষেকেই তিনি দর্শকদের আগ্রহে পরিণত হয়েছেন। বিশেষত তাঁর ব্যক্তিত্ব, স্টাইল ও বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে নানা আলোচনা।
ব্যবসায়ী ভারত সাহনিকে বিয়ে করে রিদ্ধিমা বর্তমানে দিল্লিতে বাস করছেন। এই বাংলো দেখতে যেমন বিলাসবহুল তেমনি রিদ্ধিমার আন্তরিক আপ্যায়নেও মুগ্ধ অতিথিরা। সম্প্রতি বলিউডের কোরিওগ্রাফার-নির্মাতা ফারাহ খান ও তাঁর রাঁধুনি দিলীপ রিদ্ধিমার বাড়িতে যান। তাঁরা দর্শকদের পুরো বাংলোটি ঘুরে দেখান। আর সেই বাংলো যে মোটেও সাত তারকা হোটেল থেকে কম কিছু নয়, তা তাঁদের কথোপকথন শুনেই বোঝা যাচ্ছিল।
‘হোটেল নাকি বাড়ি?’
বাড়ির সামনে পৌঁছে ফারাহ তাঁর রাঁধুনি দিলীপকে বললেন, ‘আমি তোমাকে খুব সুন্দর একটি বাড়ি দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি।’ বিশাল গেটওয়ে দেখে অবাক হয়ে দিলীপ প্রশ্ন করেন, ‘ম্যাডাম, এটা কোন হোটেল? আপনি তো বলেছিলেন কারও বাড়িতে যাচ্ছি।’ হেসে ফারাহ জবাব দিলেন, ‘এটা কোনো হোটেল নয়, কিন্তু দেখতে হোটেলের মতোই!’ দিলীপও সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘হ্যাঁ ম্যাডাম, আমিও তা–ই মনে করছি।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে হঠাৎ বন্যায় করণীয় কী, জানাল কৃষি বিভাগ
‘শুধু বিঘে-দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে…’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার উপেনের মতো রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম গ্রামের আবদুল মালেকের জীবনকাহিনি। কবিতায় উপেনের দুই বিঘা জমি মহাজনে কেড়ে নিলেও আবদুল মালেকের দুই একর জমি তিস্তা নদী গিলে খেয়েছে। শেষ সম্বল তিস্তার তীরে দুই বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছিলেন। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ওই দুই বিঘা জমিও পানিতে ডুবে গেছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজারহাট উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, উজানের ঢলে পানি বেড়ে জেলার নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। কোথাও কোথাও ঘরবাড়িতেও পানি উঠেছে। এতে জেলার ১ হাজার ৭৮৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষতি বেশি হয়েছে। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম, নামা ভরট এলাকায় কয়েকজন কৃষককে বন্যায় ডুবে যাওয়া আমন খেত থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে দেখা যায়।
এই পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের দ্রুত মাঠে কাজ শুরু করতে হবে। ডুবে যাওয়া জমিতে সাদা পানির স্প্রে করলে কাদা জমে থাকা স্তর নরম হয়ে যাবে। এতে মাটির অক্সিজেন প্রবাহ বাড়বে এবং গাছের শিকড় টিকে থাকবে। যেসব জমিতে ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, সেসব জমিতে দ্রুত স্বল্পমেয়াদি ফসল, যেমন সরিষা, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন রোপণের প্রস্তুতি নিতে হবে। এতে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
কুড়িগ্রামের ১ হাজার ৭৮৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষতি বেশি হয়েছে