বেনাপোল বন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
Published: 26th, September 2025 GMT
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে টানা ছয় দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে, এ সময়ে বন্দর ও কাস্টমসের পণ্য খালাসের কাজ এবং দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। বিশেষ ব্যবস্থায় ইলিশ মাছ রপ্তানিও চালু থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এর সঙ্গে ৩ অক্টোবর বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় মোট ছয় দিন এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, “আমদানি-রপ্তানি আবার ৪ অক্টোবর (শনিবার) সকাল থেকে শুরু হবে। ইলিশ মাছ আমদানি বিশেষ ব্যবস্থায় অব্যাহত থাকবে।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, এ সময়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড ও কাস্টমসে কাজ চলবে। বন্দরে মালামাল আনলোড করে ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যেতে পারবে। ইলিশ মাছ রপ্তানি অব্যাহত থাকবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াছ হোসেন মুন্সী জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয় এবং প্রায় ১০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়।
ঢাকা/রিটন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ধ থ আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধের তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিন হবে শবে-বরাত উপলক্ষ্যে। ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য) ১৩ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে, ২৬ থেকে ৩১ মে পাঁচদিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
এদিকে, আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, চলতি বছর দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৭ দিন, আগের বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন।
ঢাকা/নাজমুল//