মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায় রানু বেগমকে (৬০) নির্জন ঘরে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মাদারীপুর র‌্যাব-৮ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর চরকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রাসেল মাহমুদ (৩০) ঢাকার শেওড়াপাড়া এলাকার মৃত কাজী কেরামত আলীর ছেলে। তিনি বৃদ্ধা রানু বেগমের ঘরের একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। 

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায় নিজ ঘর থেকে রানু বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রানু বেগম ওই এলাকার মৃত সাদেক হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঘরে একা থাকতেন।

মাদারীপুর র‌্যাব ৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে আসামি রাসেল মাহমুদ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ক্ষোভ থেকে বৃদ্ধাকে হত্যা করেছেন বলে আসামি জানিয়েছেন।

রানু বেগমের এক ছেলে চাকরির সুবাধে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। ২২ সেপ্টেম্বর সকালে ফোনে তার মাকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা রানু বেগমের রক্তাক্ত নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। 

এই ঘটনায় নিহতের ছেলে খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, ৯ মাস আগে রাসেল মাহমুদ ওরফে সবুজ বৃদ্ধা রানু বেগমের বাসার একটি কক্ষ ভাড়া নেন। এরপর পর রানু বেগমের ঘরে চুরি হলে রাসেলকে সন্দেহ করতে শুরু করেন রানু বেগম। চার মাস ভাড়া থাকার পর এক পর্যায়ে এ নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে রাসেল মাহমুদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এই ক্ষোভ থেকে গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে ধারালো কাঁচি দিয়ে হাত ও গলাকেটে রানু বেগমকে হত্যা করেন তিনি।  

ঢাকা/বেলাল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর ব গম র শ বচর

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ