সার খাতে গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব নিয়ে আগামী ৬ অক্টোবর রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ শুনানি চলবে।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত এ গণশুনানিতে সার খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো বা সমন্বয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে শুনানি হবে।

আরো পড়ুন:

বিএনপি নির্বাচিত হলে কৃষকদের জন্য ফারমার্স কার্ড করা হবে: টুকু 

শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সার খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।

গণশুনানিতে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত মতামত কমিশনে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। আর গণশুনানিতে অংশ নিতে হলে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নাম নিবন্ধন করতে হবে।

তালিকাভুক্ত অংশগ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য-উপাত্ত ও দলিলাদি উপস্থাপন করতে পারবেন।

প্রস্তাবিত গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত অনুলিপি অফিস চলাকালে কমিশনের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। পাশাপাশি কমিশনের ওয়েবসাইট www.

berc.org.bd থেকেও ডাউনলোড করা যাবে।

ঢাকা/এএএম/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড স ট র ব উশন র প রস ত ব গণশ ন ন

এছাড়াও পড়ুন:

বারবার ভূকম্পন বড় ভূমিকম্পের আভাস

দেশে গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে আজ শনিবার সকালে একবার ও সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা।

বারবার ভূমিকম্প হওয়ার কারণ জানিয়েছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। আজ শনিবার রাতে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যদি ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হতো তাহলে আফটার শকগুলো (পরাঘাত) নিয়ে উদ্বেগের কিছু ছিল না। তবে তিনি হিসেব করে দেখেছেন, যে পরিমাণ ভূমিকম্পের শক্তি সাবডাকশন জোনে (দুটি টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থল) পুঞ্জীভূত হয়ে আছে, তার ১ শতাংশেরও কম নির্গত হয়েছে। ফলে বারবার হওয়া এই ভূকম্পগুলো বড় একটি ভূমিকম্পের পথ খুলে দিয়েছে।

আজকের ভূমিকম্পের বিষয়ে অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, গতকালের ভূমিকম্পের পর ‘আফটার শক’ হবে এমনটা আগেই ধারণা করা হয়েছিল। তবে আফটার শকগুলো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভূ-অভ্যন্তরের যে ফাটল বা ফল্ট লাইনটি এত দিন ধরে প্রচণ্ড চাপে একে অপরের সাথে আটকে ছিল, তা নড়তে শুরু করেছে এবং শক্তি নির্গমনের একটি প্রক্রিয়া চালু করেছে। এমন আফটার শক হতে হতে বড় ভূমিকম্প হবে। সেটা খুবই নিকটে হতে পারে।

আরও পড়ুনআমরা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে আছি৯ ঘণ্টা আগে

সিলেট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল সাবডাকশন জোনের মধ্যে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প শক্তি জমা হয়ে আছে উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এটি যেকোনো জায়গায় হতে পারে। এটা শুরু হয়েছে ঘোড়াশাল থেকে, হয়তো সেখান থেকেই এটি উত্তরে এবং দক্ষিণে বিস্তার লাভ করবে। অনেক বড় শক্তির একটি ভূমিকম্প তখন আঘাত হানবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ