গরুর মাংসে হাড় বেশি দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আটক ৩
Published: 4th, October 2025 GMT
চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ বাজারে গরুর মাংস কেনার সময় হাড় ও চর্বি বেশি দেওয়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া।
ক্রেতা এমদাদ প্রধানীয়া বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় স্ত্রীসহ স্বজনদের নিয়ে বিপনীবাগ বাজারে সোহেল নামের এক কসাইয়ের দোকান থেকে চার কেজি গরুর মাংস কিনতে যাই। দাম ধার্য হয় কেজি প্রতি ৬৫০ টাকা। কিন্তু সোহেল মাংসের সাথে গোপনে প্রায় দুই কেজি চর্বি ও হাড় মিশিয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে আমি প্রতিবাদ করলে সোহেল আমাকে ধাক্কা দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি দেখে আমার ছেলে শাহজালাল জুয়েল এগিয়ে আসে। সেসময় সাগর বকাউল নামে কসাইয়ের এক সহযোগী তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এসময় আরো কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত করে।”
হামলায় আহত আহাদ বলেন, “আমি ওনাদেরকে চাপাতির কোপ থেকে বাঁচতে গিয়ে হাত ও মুখে কিল ঘুষি খেয়ে গুরুতর জখম হই। সেসময় রাহিম হোসেন নামে আরো একজনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পিঠে রক্তাক্ত ক্ষত সৃষ্টি করে কসাইয়ের দল। শুধু তাই নয়, এই কসাইয়ের দল ওই পরিবারের নারী সদস্যদের ওপরও হামলা চালায়। তাদের কিল-ঘুষি মেরে আহত করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।”
এমদাদের ছেলে জুয়েল বলেন, “হামলার সময় আমাদের পরিবারের এক নারীর গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় এরা। যার মূল্য প্রায় এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা। পরে বাজারের উপস্থিত লোকজন আমাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাদেরকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।”
এদিকে ঘটনায় দায় স্বীকার করে আটককৃত সোহেলসহ অন্যরা বলেন, “মাংসে কিছু হাড় থাকায় ওই ক্রেতা ক্ষুব্ধ হয়ে ঝগড়ায় জড়ান। তাদের পরিবারের নারীদের শরীরে কেউ হাত দেয়নি, টাকা বা সোনাও কেউ নেয়নি।”
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর দ্রুত আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/অমরেশ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুবিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাঠাল সিঙ্গাপুর
গত বৃহস্পতিবার শোনা গিয়েছিল, স্কুবা ডাইভিং নয়, বরং সাঁতার কাটতে গিয়েই পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জুবিন গার্গের। গতকাল শুক্রবার সেই গুঞ্জনের সত্যতা মিলল। সিঙ্গাপুর সরকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দিল গায়কের স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গার্গের হাতে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, স্কুবা ডাইভিং করার সময় নয়, সিঙ্গাপুরের একটি দ্বীপে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মারা গেছেন তিনি।
সিঙ্গাপুর পুলিশ (এসপিএফ) প্রয়াত গায়কের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রাথমিক অনুসন্ধানের একটি অনুলিপি ভারতীয় হাইকমিশনের হাতে তুলে দিয়েছে। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুর পুলিশ জুবিনের স্ত্রী গরিমার সঙ্গেও কথা বলে। প্রসঙ্গত, ভারত-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০তম বার্ষিকী এবং ভারত ‘আসিয়ান’ পর্যটনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন গায়ক।
জুবিন গার্গ