চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ বাজারে গরুর মাংস কেনার সময় হাড় ও চর্বি বেশি দেওয়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া।

ক্রেতা এমদাদ প্রধানীয়া বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় স্ত্রীসহ স্বজনদের নিয়ে বিপনীবাগ বাজারে সোহেল নামের এক কসাইয়ের দোকান থেকে চার কেজি গরুর মাংস কিনতে যাই। দাম ধার্য হয় কেজি প্রতি ৬৫০ টাকা। কিন্তু সোহেল মাংসের সাথে গোপনে প্রায় দুই কেজি চর্বি ও হাড় মিশিয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে আমি প্রতিবাদ করলে সোহেল আমাকে ধাক্কা দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি দেখে আমার ছেলে শাহজালাল জুয়েল এগিয়ে আসে। সেসময় সাগর বকাউল নামে কসাইয়ের এক সহযোগী তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এসময় আরো কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত করে।”

হামলায় আহত আহাদ বলেন, “আমি ওনাদেরকে চাপাতির কোপ থেকে বাঁচতে গিয়ে হাত ও মুখে কিল ঘুষি খেয়ে গুরুতর জখম হই। সেসময় রাহিম হোসেন নামে আরো একজনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পিঠে রক্তাক্ত ক্ষত সৃষ্টি করে কসাইয়ের দল। শুধু তাই নয়, এই কসাইয়ের দল ওই পরিবারের নারী সদস্যদের ওপরও হামলা চালায়। তাদের কিল-ঘুষি মেরে আহত করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।”

এমদাদের ছেলে জুয়েল বলেন, “হামলার সময় আমাদের পরিবারের এক নারীর গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় এরা। যার মূল্য প্রায় এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা। পরে বাজারের উপস্থিত লোকজন আমাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাদেরকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।”

এদিকে ঘটনায় দায় স্বীকার করে আটককৃত সোহেলসহ অন্যরা বলেন, “মাংসে কিছু হাড় থাকায় ওই ক্রেতা ক্ষুব্ধ হয়ে ঝগড়ায় জড়ান। তাদের পরিবারের নারীদের শরীরে কেউ হাত দেয়নি, টাকা বা সোনাও কেউ নেয়নি।”

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর দ্রুত আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/অমরেশ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘চতুর্থ শ্রেণি থেকেই খেলোয়াড় বাছাই শুরু করেছে বিসিবি’

রংপুরের মাঠ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য কতটা উপযোগী, তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবর। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ক্রিকেট গার্ডেন মাঠ ঘুরে দেখে তিনি।

সেখানে খেলোয়াড় ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষ সাংবাদিকদের আসিফ আকবর বলেন, “মাঠ আছে, কিন্তু ফ্যাসিলিটির ঘাটতি এখনো বড় বাধা। বয়সভিত্তিক খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে স্কুল ও মাদরাসা পর্যায়ে কাজ চলছে। চতুর্থ শ্রেণি থেকেই খেলোয়াড় বাছাই শুরু করেছে বিসিবি।”

আরো পড়ুন:

ভালোবাসা, গর্বে মোড়ানো মুশফিকের ‘একশ’ টেস্ট

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ একাদশ ঘোষণা, নতুন দুই মুখের অভিষেক

তিনি বলেন, “আপাতত সবচেয়ে বড় সংকট সীমিত মাঠ। এজন্য মাঠের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ ইয়ার ক্যালেন্ডার। যেহেতু সম্পদ সীমিত, তাই পরিকল্পিতভাবে মাঠ ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যালেন্ডার হলে জটিলতা অনেকটাই কমে আসবে।”

রংপুরে বিপিএল আয়োজন সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ আকবর বলেন, “বিপিএল আয়োজনের মতো আধুনিক সুবিধা রংপুরে এখনো নেই। তবে, বিসিবির বিভাগীয় অফিস স্থাপন হলে অনেক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।”

পরিদর্শনকালে বিসিবি পরিচালক হাসানুজ্জামানসহ স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ