ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
Published: 4th, October 2025 GMT
ঢাকার সাভার উপজেলায় ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে মেহেদী হাসানকে অপহরণ করে পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সাভার থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিনুর কবির।
আরো পড়ুন:
নরসিংদীতে এএসপি শামীম আনোয়ারের ওপর চাঁদাবাজদের হামলা
পুলিশ সদস্যদের হেনস্তা, বিএনপির ৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা
গ্রেপ্তাররা হলেন, রংপুরের পীরগাছা থানার তালুকো এলাকার শরিফুল (২৫), একই থানার ২নং সতাং এলাকার মো.
ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মিনি চিড়িয়াখানার সামনের এলাকা থেকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে মেহেদী হাসানকে অপহরণ করা হয়। এরপর অপহরণকারীরা তাকে আটকে রেখে পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি জাতীয় জরুরি যোগাযোগ নম্বর- ৯৯৯ এ ফোন করে সাভার থানা পুলিশকে জানায়।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা ২০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সাভারের জামসিং এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত লেগুনা জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ পর ব র এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
স্কুল থেকে অপহরণের পর মুক্তি পেল ২৪ নাইজেরিয়ান ছাত্রী
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে গত সপ্তাহে অপহৃত ২৪ ছাত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ উপদেষ্টা বায়ো ওনানুগা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু অপহৃত ২৪ জন স্কুলছাত্রীর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর রাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একটি দল কেব্বি রাজ্যের সরকারি বালিকা সমন্বিত সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে (জিজিসিএসএস) হামলা চালিয়ে একজন স্কুলকর্মীকে হত্যা করে এবং ২৫ জন ছাত্রীকে অপহরণ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই একজন ছাত্রী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এই ঘটনার প্রতি ‘দ্রুত প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। যদিও তাদের মুক্তির পরিস্থিতি অস্পষ্ট।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অপহরণের ঘটনা বেড়েছে। গত শুক্রবার রাতে একদল অস্ত্রধারী নাইজার অঙ্গরাজ্যের ক্যাথলিক সেন্ট মেরিস স্কুলে হামলা চালিয়ে ৩১৫ জন ছাত্র ও শিক্ষককে অপহরণ করে। এর মধ্যে ৫০ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে পালিয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরেছে। বাকিরা এখনও অপহরণকারীদের হেফাজতে রয়েছে। গত এক সপ্তাহে নাইজেরিয়ায় এটি তৃতীয় বড়ো অপহরণ।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “অপহরণের আরো ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আরো নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে টিনুবু লিখেছেন, “বিমান বাহিনীকে সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রমাগত নজরদারি বজায় রাখতে হবে, সব প্রতিকূল উপাদানকে কার্যকরভাবে সনাক্ত, বিচ্ছিন্ন, ব্যাহত এবং নিরপেক্ষ করার জন্য স্থল ইউনিটের সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।”
সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে।
নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অংশে স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ নামে পরিচিত অপরাধী চক্রের মাধ্যমে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ একটি বড় সমস্যা। এই গোষ্ঠীগুলো প্রায়শই স্কুল, গ্রাম এবং অন্যান্য জনবহুল স্থান থেকে মানুষকে অপহরণ করে থাকে, যা দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলেছে।
নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় এই সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সহ বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করেন।
ঢাকা/ফিরোজ