গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ, লন্ডনে ৫০০ গ্রেপ্তার
Published: 5th, October 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ও যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে বড় বড় শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ–মিছিল করেছেন। যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন ও পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে এসব বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
স্পেনের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর বার্সেলোনা ও রাজধানী মাদ্রিদে গতকাল শনিবার যে বিক্ষোভ হয়েছে তার ডাক দেওয়া হয়েছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই। তবে ইতালির রোম ও পর্তুগালের লিসবনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয় গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে ইসরায়েল আটক করার পর।
ইসরায়েলি বাহিনী ভূমধ্যসাগরে থাকতেই নৌবহরটি আটক করেছে। ইসরায়েলের নৃশংস হামলা ও দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা হিসেবে এ নৌবহর বার্সেলোনা থেকে রওনা দিয়েছিল।
নৌবহর থেকে আটক ৪৫০ মানবাধিকারকর্মী ও অন্যদের মধ্যে ৪০ জনের বেশি স্পেনের নাগরিক। তাঁদের মধ্যে বার্সেলোনার একজন সাবেক মেয়রও রয়েছেন।
এদিকে গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত শুক্রবার ইতালিতে এক দিনের সাধারণ ধর্মঘটে ২০ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।
গত কয়েক সপ্তাহে স্পেনে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সরকার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চরম দক্ষিণপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করছে।গত কয়েক সপ্তাহে স্পেনে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সরকার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চরম দক্ষিণপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
গত মাসে একটি সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইসরায়েলি একটি দল স্পেনে গিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এতে প্রতিযোগিতার আয়োজন ব্যাহত হয়।
ওই সময় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গাজায় চলমান যুদ্ধকে ‘জাতিহত্যা’ বলে আখ্যা দেন এবং আন্তর্জাতিক সব ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি দলের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
ইতালির রোমে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল। ৩ অক্টোবর, ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রী গ্লোবাল বাংলাদেশের পার্টনারস মিট: কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে দিকনির্দেশনা
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এয়ারকন্ডিশনার ব্র্যান্ড গ্রী’র ‘পার্টনারস মিট ২০২৬’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রী গ্লোবালের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রেসিডেন্ট কেভিন বাই, এজিএম রাইয়ান ঝাং এবং মিস এমবার। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সারা দেশের সব পার্টনার।
অংশগ্রহণকারী পার্টনার ও অতিথিদের স্বাগত জানান ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নুরুন নেওয়াজ। তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বসেরা গ্রী ব্র্যান্ডের পণ্যসামগ্রী দেশের ক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের নিকট প্রচার, প্রসার, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ও বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের জন্য পার্টনার ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
মো. নুরুন নেওয়াজ বলেন, ‘দেশের ইলেকট্রনিকস খাতকে এগিয়ে নিতে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড গ্রীর সঙ্গে প্রযুক্তি শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে কাজ করছে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ। দেশের ক্রমবর্ধমান এসির চাহিদা পূরণ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রুপটি নারায়ণগঞ্জে নিজস্ব কারখানা গ্রীর পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করছে।’
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের ডিএমডি মোহাম্মদ নুরুল আফছার বলেন, বাংলাদেশে গ্রী এসি বিপণনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন পার্টনাররা। গ্রী বর্তমানে বাংলাদেশেও নাম্বার ওয়ান এবং সুপার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। পার্টনারদের নিরলস পরিশ্রম, আন্তরিক সহযোগিতা এবং নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসার ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ ঊন নেওয়াজ, নুরুল আজিম সানি, সিনথিয়া কায়নাথ নুর এবং বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাহমুদুন নবী চৌধুরীসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি গ্রী গ্লোবালের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রেসিডেন্ট কেভিন বাই পার্টনারদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে গ্রীর সর্বোত্তম ব্যবসায়িক পার্টনার। গ্রী পণ্য বাংলাদেশি গ্রাহকদের নিকট সহজলভ্য এবং প্রসারের জন্য আমি পার্টনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বিশ্বব্যাপী গ্রী পণ্যের সাফল্যের ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থান তুলে ধরে কেভিন বাই বলেন, গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহের কারণে গ্রী আজ গণমানুষের আস্থায় বিশ্বে নাম্বার ওয়ান। গ্রাহকদের বর্ধিত এই চাহিদা নিরবচ্ছিন্নভাবে পূরণের লক্ষ্যে প্রযুক্তি শেয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।
কেভিন বাই বলেন, বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বাড়ছে। বাংলাদেশও এ নিয়ে বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে গ্রী প্রতিটি পণ্য উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ, কেমিক্যাল ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে। যার ধারাবাহিকতায় গ্রী এসি শূন্য মাত্রার কার্বন নিঃসরণ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির জন্য বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি গ্রী এসি এবং বিদেশে তৈরি এসির মধ্যে কোনো ফারাক নেই।
গ্রী গ্লোবালের এজিএম রাইয়ান ঝাং বলেন, বিশ্বব্যাপী গ্রীর সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম স্বল্প পরিসরে স্বল্প ব্যয়ের মাধ্যমে সর্বাধিক স্পেস এয়ারকন্ডিশনিং করা যায়। গ্রীর ভিআরএফ, স্ক্রু চিলার, সেন্ট্রিফিউগাল চিলার এবং প্যাকেজড টাইপ এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম বিশ্বের অধিকাংশ বৃহৎ করপোরেট অফিস, বহুতল ভবন, হাসপাতাল, বাণিজ্যিক ভবন, শপিংমল এবং শিল্প-কলকারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রীর আবিষ্কৃত আধুনিক ওয়াটার কুলড ম্যাগনেটিক চিলার প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রিয়ালসহ বৃহৎ প্রকল্পের এয়ারকন্ডিশনিং কার্যক্রমকে করছে সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধব। গ্রীর এই প্রযুক্তি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।
সম্মেলনে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. নুরুল আমিন বলেন, একসময় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস খাত ছিল সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। ইলেকট্রনিকস ক্ষেত্রে শিল্পবান্ধব নীতির ফলে তা এখন স্বনির্ভর শিল্প খাতে পরিণত হতে চলছে। গ্রী এসি এখন বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অচিরেই গ্রী ইলেকট্রনিকস পণ্য বিদেশে রপ্তানি হবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পরিচয়ে।
সম্মেলনে গ্রী এসির বিশেষ সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন গ্রুপটির ডিএমডি মো. নুরুল আফছার। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ১৬০ টির বেশি দেশে প্রায় ৬০ কোটির অধিক গ্রাহক গ্রী এসি ব্যবহার করছেন। এটি ঘরের বাতাসের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ঘরের পরিবেশকে রাখে নির্মল, সুন্দর ও জীবাণুমুক্ত। ইলেকট্রনিকস পণ্যের মধ্যে এসি এখন আর শৌখিন ও বিলাসপণ্য নয়।’
মো. নুরুল আফছার বলেন, ‘গ্রী এসির সাশ্রয়ী মূল্য, গুণগত মান ও দীর্ঘস্থায়িত্বের কারণে বিশ্বব্যাপী এটি এখন মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীতে পরিণত হয়েছে। গ্রীই বর্তমান বিশ্বে পরিবেশবান্ধব এসি উৎপাদনে শীর্ষে। সম্প্রতি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আরও নতুন কয়েকটি মডেলের গ্রী এসি বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করছে।’
সম্মেলনে ২০২৬ সালের বিপণন কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সুদৃঢ় করতে গ্রাহকদের চাহিদা ও বাজার–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়।