কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পাঁচ দিন আটকে রাখা মো. রাফিকে (১৮) উদ্ধার করা হয়েছে। এ মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আসামিরা হলেন, উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকার শহিদুলের ছেলে রাব্বি হোসেন (২২) ও সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকার মনির উদ্দিনের ছেলে রাজু আহমেদ। 

আরো পড়ুন:

রামগঞ্জে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলা

দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কা, নিহত ১

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান জানান, রাফি খুলনা থেকে কুমারখালী ঘুরতে আসেন। তাকে স্থানীয় কয়েকজন একটি কক্ষে আটকে রেখে পরিবারকে ফোন দিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে রাফিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। 

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় থানায় নয়জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, খুলনার ৪ নম্বর ঘাট এলাকার রাশেদুল ইসলামের ছেলে মো.

রাফি সম্প্রতি ফকির লালন শাহের আখড়াবাড়িসহ কুমারখালীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে আসেন। ঘুরাঘুরির একপর্যায়ে ৩০ সেপ্টেম্বর কুমারখালীর দুর্গাপুর এলাকায় স্থানীয় রাব্বি তার লোকজন নিয়ে রাফিকে আটক করে। পরে কুমারখালী কলেজ মোড় এলাকায় একটি ভাড়া দোকান ঘরে তাকে পাঁচ দিন আটকে রেখে পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। 

টাকা না দিলে শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাফিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় সদকী বাজারের লোকজন বিষয়টি টের পায় এবং রাফি, রাব্বি ও রাজুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। 

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে রাফি বাদী হয়ে রাব্বিকে প্রধান আসামি করে নয়জনের নামে বেআইনিভাবে আটক ও চাঁদাবাজি আইনে মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাব্বি ও রাজুকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

মামলার বাদী মো. রাফি পুলিশ হেফাজতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের ১৭ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ নয়জন আটক

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিয়ের ১৭ দিন পর এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম পপি বেগম ওরফে রাশেদা (১৮)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত পপি বেগম রেহেনিয়া গ্রামের শরিফ উদ্দিনের মেয়ে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গে উপজেলার চর বগুড়া গ্রামের মোহাম্মদ রুবেলের (২৬) বিয়ে হয়। গতকাল শনিবার সকালে রুবেলের পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে পপি বেগমের মৃত্যু হয়েছে। পপির পরিবারকেও একই কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে পপির লাশ বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে পরিবারের সদস্যরা লক্ষ করেন তাঁর শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপর বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন তাঁরা। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নয়জনকে আটক করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে নোয়াখালী সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত গৃহবধূর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। ওসি আরও বলেন, আটক ব্যক্তিদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্বর হলেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করানোর পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
  • ডেঙ্গুতে একদিনে ৯ জনের মৃত্যু, সর্বোচ্চ সংক্রমণ
  • বিয়ের ১৭ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ নয়জন আটক