কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজের এক দিন পর হ্নীলা ইউনিয়নে পাঁচ বছরের এক শিশুর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের দাবি, সোনার কানের দুল ছিনিয়ে নিতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

নিহত শিশুর নাম নুসাইবা নুসরাত। সে হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হোয়াকিয়াপাড়ার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদের মেয়ে।

আজ রোববার বেলা ১টার দিকে ইউনিয়নের পূর্ব পানখালীর দিলু মেম্বারের বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুর লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে এলাকাবাসী লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জায়েদ মো.

নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে নুসাইবা নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। আজ দুপুরে তাঁর মরদেহ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।

নিহত শিশুটির পরিবারের দাবি, শিশুটির কানে থাকা সোনার দুল পাওয়া যায়নি এবং মুখে স্কচটেপ লাগানোর দাগ ছিল। তাঁদের ধারণা, কানের দুল নেওয়ার জন্যই শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় এনসিপির নেতার বাড়ির ফটকে আগুন

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার গজিনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে বলে দাবি প্রীতমের।

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘রোববার রাত ১২টার দিকে কে বা কারা বাড়ির ফটকের সামনে আগুন দেয়। এতে আমার স্ত্রীর স্যান্ডেল ও পাপোশ পুড়ে যায়। এ ছাড়া ওপরে থাকা বিদ্যুতের কার্ড মিটারের ক্ষতি হয়। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি, আগুন নিভে যায়।’

আগুনের বিষয়টি আজ সোমবার সকাল ছয়টার দিকে টের পেয়েছেন জানিয়ে প্রীতম বলেন, ‘গতকাল রাতে জেলা শহর থেকে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এসে রাত ১০টার দিকে গেট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি। আজ সকালে লোকজন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে জানান যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় আমার চাচাতো ভাই এনামুল হকের মুদিদোকান আছে। তিনি আমার বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজনকে বের হতে দেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দুর্বৃত্তরাই আগুন ধরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চলে যায়।’

এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এনসিপি নেতার বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ