‘সিয়ম খুব শান্ত ছিল, কে জানত এটাই ছিল ওর জীবনের শেষ সকাল’
Published: 10th, November 2025 GMT
শরীয়তপুরের জাজিরায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের হাজী তাহের মল্লিকের কান্দি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো- কুতুবপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আবু নাঈমের ছেলে সিয়ম (৩) ও দুলাল মল্লিকের ছেলে আবদুল্লাহ (৪)।
আরো পড়ুন:
উখিয়ায় মার্কেটে আগুন, দগ্ধ একজনের মৃত্যু
ময়মনসিংহে বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
স্থানীয় বাসিন্দা আজহার মোল্লা জানান, শিশু দুটি প্রতিদিন সকালে একসঙ্গে খেলতে বের হতো। আজও বের হয়। কিন্তু, আর ফিরে আসেনি। দুপুরে পুকুরে তাদের লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।
সিয়মের বাবা আবু নাঈম বলেন, ‘‘আমার সিয়মটা খুব শান্ত ছিল। কে জানত এটাই ছিল ওর জীবনের শেষ সকাল! আল্লাহ যেন এই কষ্ট আর কাউকে না দেন।’’
নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর ঢালী বলেন, “এটা খুব মর্মান্তিক ঘটনা। দুই পরিবারের সব কিছু যেন থেমে গেছে এই দুর্ঘটনায়। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে সবাইকে শিশুদের নিরাপত্তায় আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’’
ঢাকা/আকাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফারইস্টের সাবেক চেয়ারম্যান খালেক ৩ দিনের রিমান্ডে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ভবন নির্মাণের নামে জমি কেনাবেচার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ খালেককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, এম এ খালেকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর তরিকুল ইসলাম জানান, ফারইস্টের ভবন নির্মাণের নামে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে করা মামলায় এম এ খালেককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মশিউর রহমান এ আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি জমি ও স্থাপনা অনিয়ম করে ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় কেনাবেচা করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করেন। এই অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান গোপন করতে বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করে অপরাধ করা হয়েছে। ওই অর্থের মধ্যে বিক্রেতাদের যোগসাজশে ১০ কোটি টাকা ওয়ান ব্যাংক লি. মতিঝিল শাখায় পাঠানোর মধ্য দিয়ে এম এ খালেক আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ বিক্রেতা আজহার খানের কাছ থেকে নিজ নামে ৫ কোটি টাকা, স্ত্রী সাবিহা খালেকের নামে আড়াই কোটি টাকা এবং মেয়ে সারওয়াত সিমিন খালেকের নামে প্রায় ৮ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছেন। এসব অর্থ আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় আর কারা সহযোগী হিসেবে ছিলেন, সেটা জানতে এম এ খালেককে ৭ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুনফারইস্টের সেই খালেকের ১৫০ কোটি টাকার বাড়ি জব্দ১১ জানুয়ারি ২০২৩