রূপসায় ডুবে গেল নোঙর করা ট্যুরিস্ট জাহাজ
Published: 6th, October 2025 GMT
খুলনার রূপসা নদীতে মেরামত কাজের জন্য নোঙর করা সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট জাহাজ ‘এমভি জিলান’ ডুবে গেছে। রবিবার রাত থেকে জাহাজটি কাস্টমঘাট সংলগ্ন একটি ডকইয়ার্ড লাগোয়া নদীতে ডুবতে শুরু করে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সেটি পুরোপুরি ডুবে যায়।
জাহাজ ডুবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড।
আরো পড়ুন:
কমেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগে মানুষ
ফুঁসছে তিস্তা, লালমনিরহাটে রেড অ্যালার্ট জারি
তিনি বলেন, “জাহাজটি সম্প্রতি সুন্দরবনে তিনদিনের ট্যুর শেষ করে। মেরামত কাজের জন্য কাস্টমঘাটে জাহাজটি অবস্থান করছিল। জাহাজে এসি এবং বাথরুমের কাজ হচ্ছিল। মিস্ত্রির অসাবধানতার কারণে বাথরুমের পাইপ লাইন খোলা থাকায় পানি ঢুকে যায়। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এক পর্যায়ে জাহাজটি ডুবে যায়।”
রেইনবো ট্যুরস-এর মালিক হারুনুর রশিদের ছেলে মো.
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, “জাহাজ ডুবির ঘটনাটি বনাঞ্চল এলাকায় না হওয়ায় এটা নিয়ে বন বিভাগের তেমন কিছু করার নেই।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ স ন দরবন জ হ জট
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে দস্যুদের কবল থেকে ৪ জেলে উদ্ধার
সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর হাতে জিম্মি চার জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আজ শুক্রবার ভোরে সুন্দরবনের শিবসা নদীসংলগ্ন আড়বাউনি খালে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় দস্যুদের আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন খুলনার কয়রা উপজেলার মফিজুল ইসলাম (৪২), হাবিবুর রহমান (৩৭), দাকোপ উপজেলার মো. হাবিবুর (৩৫) এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শাহজাহান গাজী (৪০)। কোস্টগার্ড জানায়, তাঁদের ১০ দিন ধরে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়েছে দস্যুরা।
আজ শুক্রবার সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই স্থানে কয়েকজন জেলেকে জিম্মি করে রেখেছিল জাহাঙ্গীর বাহিনী। অভিযানের সময় ডাকাত দলটিকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে কোস্টগার্ড। পরে দস্যুরা নৌকা ও জিম্মিদের ফেলে বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক, দুটি এয়ারগান ও তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। নৌকাটি থেকে চার জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুনদস্যুতায় ফিরছে আত্মসমর্পণকারীরা, ‘দুলাভাই বাহিনী’সহ ১৪ দল সক্রিয় ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জন দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৩১টি গুলি।
সার্বিক বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার আবরার হাসান বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে নিয়মিত অপারেশন, হটস্পট এলাকায় বিশেষ টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনপাচারকারীসহ আরও কিছু কারণে হুমকির মুখে সুন্দরবনের বাঘ২৯ জুলাই ২০২৫