আফগানিস্তান দল বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের আগে। দলের ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সালিম চোটের কারণে বাদ পড়েছেন তিন ম্যাচের সিরিজ থেকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সিরিজে সালিম খেলতে পারবেন না। গোড়ালির মাংসপেশি (গ্রোয়েন) ইনজুরির কারণে তিনি ছিটকে গেছেন।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) এক বিবৃতিতে জানায়, সালিমকে পাঠানো হয়েছে বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে, যেখানে তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন।

আরো পড়ুন:

শেষ ম্যাচে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে এক পরিবর্তন

তার অনুপস্থিতিতে দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার বিলাল সামি। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার বাংলাদেশের বিপক্ষের ওয়ানডে সিরিজে স্কোয়াডে যুক্ত হচ্ছেন।

২৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ সালিম এখন পর্যন্ত খেলেছেন মাত্র দুটি ওয়ানডে। দুটিই আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে, গত বছরের জুলাই মাসে। এছাড়া একমাত্র টেস্ট খেলেছেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে।

তার পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া ২১ বছর বয়সী বিলাল সামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নতুন মুখ। একমাত্র ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যে ম্যাচে তার অভিষেক হয়েছিল। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ইতোমধ্যে নজর কেড়েছেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে।

২৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে সামি নিয়েছেন ৪৪টি উইকেট, গড় ২৫.

৭২। ২০২২ সালের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। যেখানে পাঁচ ম্যাচে শিকার করেছিলেন চার উইকেট।

সামি সর্বশেষ খেলেছেন আফগানিস্তানের ঘরোয়া ওয়ানডে প্রতিযোগিতা ‘গাজি আমানুল্লাহ খান রিজিওনাল ওয়ানডে টুর্নামেন্টে।’ যা শেষ হয়েছে সেপ্টেম্বরে। সেখানে নিজের দল ‘স্পিনগর রিজিওন’ এর হয়ে ছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। নিয়েছিলেন ১০ উইকেট, গড় ২২.৯০, ইকোনমি রেট মাত্র ৪.৯৭। এই পারফরম্যান্সই তাকে এনে দিয়েছে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ।

আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুধবার (৮ অক্টোবর) আবুধাবিতে। সালিমের ইনজুরি দলকে কিছুটা চাপে ফেললেও, আফগান শিবির আশা করছে নতুন সুযোগ পাওয়া তরুণ বিলাল সামি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবেন।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল দ শ আফগ ন স ত ন স র জ ব ল দ শ আফগ ন স ত ন স র জ আফগ ন স ত ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ একাদশ ঘোষণা, নতুন দুই মুখের অভিষেক

অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে একসঙ্গে অভিষেক হতে যাচ্ছে ওপেনার জেক ওয়েদারাল্ড এবং পেসার ব্রেন্ডান ডগেটের। জশ হ্যাজলউড হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ছিটকে পড়ায় ডগেট খেলবেন, এটা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তবে ওপেনিংয়ে ওয়েদারাল্ডকে নামানো হবে, নাকি মার্নাস লাবুশেন ওপেন করবেন; এই ধন্দে ছিল দল। শেষ পর্যন্ত নর্দান টেরিটরিতে বেড়ে ওঠা ওয়েদারাল্ডই জায়গা পেলেন। ডেভিড ওয়ার্নার অবসরের পর উসমান খাওয়াজার এটি ষষ্ঠ নতুন ওপেনিং সঙ্গী।

ওয়েদারাল্ডকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বললেন, “ওর ভেতর প্রচণ্ড সাহস আছে। নেটে সে সারাক্ষণ পেসারদের মুখোমুখি হতে চায়। সবাই গতিতে বল করছিল, আর সে সেগুলো দারুণভাবে সামলেছে। তার ব্যাকফুট ও ফ্রন্টফুট পজিশন নিখুঁত ছিল।”

আরো পড়ুন:

মুশফিকের ইতিহাসের পর লিটনের সেঞ্চুরি, আয়ারল‌্যান্ডকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ

পেছাল বিপিএল নিলাম, ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি পায়নি বিসিবি

তিনি আরও যোগ করেন, “গত দেড় বছরে পারফরম্যান্স দিয়েই সে জায়গা পেয়েছে। তাসমানিয়ার হয়ে ওপরে ব্যাট করে সে অসাধারণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। আশা করছি, সেই ফর্মটাই টেস্ট ক্রিকেটেও নিয়ে আসবে।”

এর ফলে ওয়েদারাল্ডের তাসমানিয়া সতীর্থ বো ওয়েবস্টার বাদ পড়লেন। জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে চমকজাগানো অভিষেকের পর সাতটি টেস্ট খেললেও এবার জায়গা পেলেন না।

২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কুর্টিস প্যাটারসন ও ঝাই রিচার্ডসনের অভিষেক ম্যাচের পর এই প্রথম একই টেস্টে দুই নতুন মুখ নামাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাদ পড়লেও এবার দুর্দান্ত ঘরোয়া মৌসুমের পারফরম্যান্সে আবার দলে ফিরে এসেছেন লাবুশেন। স্মিথ বললেন, “মার্নাস যখন তিন নম্বরে ছন্দে থাকে, তখন আমরা ভীষণ শক্তিশালী দল হয়ে যাই। ফিরেই সে প্রমাণ করেছে কেন তাকে রাখা জরুরি।”

পিঠের গুরুতর ইনজুরি থেকে ফিরে কিছুদিন তিন নম্বরে খেললেও ক্যামেরন গ্রিন এবার আবার নেমে যাচ্ছেন তার পুরনো জায়গা- ছয় নম্বরে। তবে দীর্ঘমেয়াদে তিনি স্মিথের পর চার নম্বরে ওঠার প্রবল দাবিদার বলে মনে করা হয়। ২৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এ বছর চার টেস্টে ব্যাটার হিসেবেই খেলেছিলেন, সদ্যই আবার বল করতে শুরু করেছেন।

ইংল্যান্ডও বুধবার তাদের ১২ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। পেসার জোফরা আর্চার ও মার্ক উড দু’জনই আছেন একাদশে। তারা অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ঐতিহ্যবাহী বাউন্সি উইকেট কাজে লাগাতে প্রস্তুত। ৪০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি অ্যাশেজ সিরিজ হতে চলেছে বলেই ধারণা অনেকের।

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টের একাদশ:
উসমান খাজা, জেক ওয়েদারাল্ড, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড, নাথান লায়ন ও  ব্রেন্ডান ডগেট।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ একাদশ ঘোষণা, নতুন দুই মুখের অভিষেক