বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ছিটকে গেলন সালিম
Published: 6th, October 2025 GMT
আফগানিস্তান দল বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের আগে। দলের ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সালিম চোটের কারণে বাদ পড়েছেন তিন ম্যাচের সিরিজ থেকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সিরিজে সালিম খেলতে পারবেন না। গোড়ালির মাংসপেশি (গ্রোয়েন) ইনজুরির কারণে তিনি ছিটকে গেছেন।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) এক বিবৃতিতে জানায়, সালিমকে পাঠানো হয়েছে বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে, যেখানে তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন।
আরো পড়ুন:
শেষ ম্যাচে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে এক পরিবর্তন
তার অনুপস্থিতিতে দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার বিলাল সামি। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার বাংলাদেশের বিপক্ষের ওয়ানডে সিরিজে স্কোয়াডে যুক্ত হচ্ছেন।
২৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ সালিম এখন পর্যন্ত খেলেছেন মাত্র দুটি ওয়ানডে। দুটিই আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে, গত বছরের জুলাই মাসে। এছাড়া একমাত্র টেস্ট খেলেছেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে।
তার পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া ২১ বছর বয়সী বিলাল সামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নতুন মুখ। একমাত্র ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যে ম্যাচে তার অভিষেক হয়েছিল। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ইতোমধ্যে নজর কেড়েছেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে।
২৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে সামি নিয়েছেন ৪৪টি উইকেট, গড় ২৫.
সামি সর্বশেষ খেলেছেন আফগানিস্তানের ঘরোয়া ওয়ানডে প্রতিযোগিতা ‘গাজি আমানুল্লাহ খান রিজিওনাল ওয়ানডে টুর্নামেন্টে।’ যা শেষ হয়েছে সেপ্টেম্বরে। সেখানে নিজের দল ‘স্পিনগর রিজিওন’ এর হয়ে ছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। নিয়েছিলেন ১০ উইকেট, গড় ২২.৯০, ইকোনমি রেট মাত্র ৪.৯৭। এই পারফরম্যান্সই তাকে এনে দিয়েছে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ।
আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুধবার (৮ অক্টোবর) আবুধাবিতে। সালিমের ইনজুরি দলকে কিছুটা চাপে ফেললেও, আফগান শিবির আশা করছে নতুন সুযোগ পাওয়া তরুণ বিলাল সামি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবেন।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল দ শ আফগ ন স ত ন স র জ ব ল দ শ আফগ ন স ত ন স র জ আফগ ন স ত ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ফার্গুসন-ওয়েঙ্গারের মতো কিংবদন্তিদের পেছনে ফেলে গার্দিওলার ইতিহাস
পেপ গার্দিওলা আবারও ইতিহাস লিখলেন। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির রোববার (০৫ অক্টোবর) রাতের জয় তাকে নিয়ে গেল এক নতুন উচ্চতায়, প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত ২৫০ জয় পাওয়া কোচ হিসেবে। মাত্র ৩৪৯ ম্যাচেই এই অসাধারণ মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন স্প্যানিশ এই মাস্টারমাইন্ড।
এই যাত্রায় পেছনে ফেলেছেন ফুটবল ইতিহাসের দুই মহাতারকা- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন (৪০৪ ম্যাচে ২৫০ জয়) এবং আর্সেনালের প্রাক্তন কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার (৪২৩ ম্যাচে ২৫০ জয়)।
আরো পড়ুন:
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সূর্যবংশীর ছক্কার বিশ্বরেকর্ড
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
রবিবারের ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডকে ১-০ গোলে হারায় সিটি, একমাত্র গোলটি করেন আরলিং হালান্ড এবং ম্যাচের প্রথমার্ধে নবম মিনিটে। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রিমিয়ার লিগে ২৫০ জয়ের মাইলফলক ছোঁয়া কোচের সংখ্যা কম নয়, কিন্তু গার্দিওলার মতো দ্রুত কেউ পারেননি। যেখানে ডেভিড ময়েসকে এই সংখ্যায় পৌঁছাতে লেগেছে ৬৪৫ ম্যাচ, সেখানে গার্দিওলা তা করেছেন প্রায় ৩০০ ম্যাচ কমে। এটি প্রমাণ করে কেন গার্দিওলার ফুটবল দর্শন, তার কৌশল আর শৃঙ্খলা আধুনিক ফুটবলের এক অনন্য পাঠ।
মৌসুমের শুরুটা তেমন সুখকর ছিল না ম্যানচেস্টার সিটির জন্য। টানা দুটি ম্যাচ হেরেছিল টটেনহ্যাম ও ব্রাইটনের বিপক্ষে। কিন্তু এরপর থেকেই যেন আবার পুরনো ছন্দে ফিরেছে ‘দ্য সিটিজেনস’। সবশেষ চারটি লিগ ম্যাচে অপরাজিত তারা, আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সাত ম্যাচে অজেয়।
এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই গার্দিওলার দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে, এবং লিগ টেবিলেও তাদের অবস্থান দিন দিন মজবুত হচ্ছে।
তবে রবিবারের জয়েও দুশ্চিন্তা আছে একটা, রদ্রির ইনজুরি। ম্যাচের মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়তে হয় স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে। যদিও তিনি হেঁটে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু ব্যথায় তার মুখের অভিব্যক্তি বলছিল ভিন্ন কথা। গার্দিওলার দলে রদ্রির ভূমিকা অপরিসীম, ফলে তার অনুপস্থিতি সিটির জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।
নরওয়ের গোলমেশিন হালান্ড যেন আবার আগুনে ফর্মে ফিরেছেন। নতুন মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাত্র ৯ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ১২। তবে নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও হালান্ড জানিয়েছেন, ইউরোপের শীর্ষ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে হ্যারি কেইন ও কিলিয়ান এমবাপ্পের চাপ তিনি টের পাচ্ছেন। “চাপ সবসময় থাকে,” বলেছেন হালান্ড, “কিন্তু আমি সেটাকেই প্রেরণা হিসেবে নিচ্ছি।”
গার্দিওলার এই ২৫০তম জয় তাই শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, এটি এক যুগান্তকারী অধ্যায়। যেখানে ফুটবল কৌশল, দৃঢ়তা আর নেতৃত্ব মিলেমিশে তৈরি করেছে এক নতুন ইতিহাস। যা আগামী প্রজন্মের কোচদের জন্য হবে এক অনুপ্রেরণার পাঠ।
ঢাকা/আমিনুল