সালমানের খামারবাড়িতে কী হয়, ফাঁস করলেন অভিনেতা
Published: 7th, October 2025 GMT
বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খান। ১৫০ একর জমি নিয়ে এ অভিনেতা তৈরি করেছেন খামারবাড়ি (ফার্মহাউজ)। মুম্বাই থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে এটি অবস্থিত। ৫৯ বছর বয়সি সালমানের এই খামারবাড়ি নিয়ে তার ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতুহলের শেষ নেই। কারণ প্রকৃতি ঘেরা এই খামারবাড়ি কী নেই!
কয়েক দিন আগে সালমানের খামারবাড়িতে রাত্রিযাপন করেন বলিউড অভিনেতা রাঘব জুয়েল। রণবীর আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন রাঘব। সালমানের খামারবাড়ি নিয়ে গোপন কিছু তথ্য দিয়েছেন সালমানের এই সহশিল্পী।
আরো পড়ুন:
৫৮ বছর বয়সে বাবা হলেন আরবাজ
আমি হৃদয় ভাঙার ভয় নিয়ে বাঁচতে চাই না: বিবেক
রাঘব জুয়েল বলেন, “সেখানে আমরা যে আনন্দ করেছি, সেটা একেবারেই অন্যরকম। উনি (সালমান) মানুষের যত্ন নিতে ভালোবাসেন, অতিথি আপ্যায়নে করতে খুব পছন্দ করেন। ভয়ানক পার্টি চলে। তারপর আমি ঘোড়ার যৌন মিলন দেখেছি। উনি বললেন, ‘চলো ঘোড়ার মিলন দেখি’। তখন রাত ৩টা বাজে। জীবনে এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি। সেখানে একটা পুরুষ ঘোড়া ছিল।”
সালমান খানের নিয়ম ভাঙার প্রবণতার কথা স্মরণ করে রাঘব জুয়েল বলেন, “উনার ফার্মহাউজ এক কথায় দারুণ মজার জায়গা। তার ডার্ট বাইক আছে, যেটা দিয়ে ঝরনা আর ছোট ছোট জলপ্রবাহ পেরিয়ে চালানো যায়। এটা পাঁচতারা হোটেলের অভিজ্ঞতার থেকেও ভালো ছিল। উনার মধ্যে এক ধরনের নিয়ম ভাঙার প্রবণ আছে। সারারাত পার্টি চলে…। ভোররাত ৪টায় এটিভি বের হয়। পৃথিবী একরকম চলছে, আর উনার জগৎ একেবারে অন্যরকম।”
এবারই প্রথম নয়, সালমানের ফার্মহাজ নিয়ে এর আগেও রাঘব তার অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন ‘হিউম্যানস অব বোম্বে’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেছিলেন, “উনার একটা অভ্যাস আছে। উনি সবার সঙ্গে বসে খাবার খেতে ভালোবাসেন। সব অভিনেতারা একসঙ্গে তাবুর নিচে বসে খান। মনে হয় যেন বাড়ির পরিবেশ। উনি আমাকে অনেকবার বকেছেন। কিন্তু সেটা যেন বাবা বা বড় ভাইয়ের মতো বকা, যেটা ভালোবাসা থেকে আসে।”
সালমান খান তার বাগানবাড়ির ভেতরে ঘোড়ায় চড়ে বেড়ান, ধান চাষ করেন, কখনো ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে চাষও করেন। মহামারির প্রথম দিকে মানসিকভাবে ভালো থাকার জন্য সালমান খান কাছের বন্ধুবান্ধব নিয়ে চলে গিয়েছিলেন এই খামারবাড়িতে। সেখানে গানের মিউজিক ভিডিও, শর্ট ফিল্ম আর নিজের একটা সাক্ষাৎকারের শুটিং সারেন সালমান।
মহামারির সময়ে সালমান তার কাছের বন্ধুদের নিয়ে এখানেই ছিলেন। সেই কাছের বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। প্রায় চার মাস এই খামারবাড়িতে ছিলেন জ্যাকলিন।
এই বাগানবাড়িতে একটি বিলাসবহুল পুল, একটি জিম আর বিশাল তিনটি মাঠ আছে। পুলের পাশেই রয়েছে বুদ্ধের মূর্তি। বসে আড্ডা দেওয়ারও জায়গা আছে বেশ কয়েকটা। মালাইকা অরোরা যখন সালমান খানের ভাবি ছিলেন, তখন এখানে মাঝেমধ্যে যোগব্যায়াম করতে যেতেন। সালমানের বিশাল বাগানবাড়িতে রয়েছে ১২টি শোবার ঘর।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র খ ম রব ড় ত
এছাড়াও পড়ুন:
সালমানের খামারবাড়িতে কী হয়, ফাঁস করলেন অভিনেতা
বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খান। ১৫০ একর জমি নিয়ে এ অভিনেতা তৈরি করেছেন খামারবাড়ি (ফার্মহাউজ)। মুম্বাই থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে এটি অবস্থিত। ৫৯ বছর বয়সি সালমানের এই খামারবাড়ি নিয়ে তার ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতুহলের শেষ নেই। কারণ প্রকৃতি ঘেরা এই খামারবাড়ি কী নেই!
কয়েক দিন আগে সালমানের খামারবাড়িতে রাত্রিযাপন করেন বলিউড অভিনেতা রাঘব জুয়েল। রণবীর আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন রাঘব। সালমানের খামারবাড়ি নিয়ে গোপন কিছু তথ্য দিয়েছেন সালমানের এই সহশিল্পী।
আরো পড়ুন:
৫৮ বছর বয়সে বাবা হলেন আরবাজ
আমি হৃদয় ভাঙার ভয় নিয়ে বাঁচতে চাই না: বিবেক
রাঘব জুয়েল বলেন, “সেখানে আমরা যে আনন্দ করেছি, সেটা একেবারেই অন্যরকম। উনি (সালমান) মানুষের যত্ন নিতে ভালোবাসেন, অতিথি আপ্যায়নে করতে খুব পছন্দ করেন। ভয়ানক পার্টি চলে। তারপর আমি ঘোড়ার যৌন মিলন দেখেছি। উনি বললেন, ‘চলো ঘোড়ার মিলন দেখি’। তখন রাত ৩টা বাজে। জীবনে এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি। সেখানে একটা পুরুষ ঘোড়া ছিল।”
সালমান খানের নিয়ম ভাঙার প্রবণতার কথা স্মরণ করে রাঘব জুয়েল বলেন, “উনার ফার্মহাউজ এক কথায় দারুণ মজার জায়গা। তার ডার্ট বাইক আছে, যেটা দিয়ে ঝরনা আর ছোট ছোট জলপ্রবাহ পেরিয়ে চালানো যায়। এটা পাঁচতারা হোটেলের অভিজ্ঞতার থেকেও ভালো ছিল। উনার মধ্যে এক ধরনের নিয়ম ভাঙার প্রবণ আছে। সারারাত পার্টি চলে…। ভোররাত ৪টায় এটিভি বের হয়। পৃথিবী একরকম চলছে, আর উনার জগৎ একেবারে অন্যরকম।”
এবারই প্রথম নয়, সালমানের ফার্মহাজ নিয়ে এর আগেও রাঘব তার অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন ‘হিউম্যানস অব বোম্বে’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেছিলেন, “উনার একটা অভ্যাস আছে। উনি সবার সঙ্গে বসে খাবার খেতে ভালোবাসেন। সব অভিনেতারা একসঙ্গে তাবুর নিচে বসে খান। মনে হয় যেন বাড়ির পরিবেশ। উনি আমাকে অনেকবার বকেছেন। কিন্তু সেটা যেন বাবা বা বড় ভাইয়ের মতো বকা, যেটা ভালোবাসা থেকে আসে।”
সালমান খান তার বাগানবাড়ির ভেতরে ঘোড়ায় চড়ে বেড়ান, ধান চাষ করেন, কখনো ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে চাষও করেন। মহামারির প্রথম দিকে মানসিকভাবে ভালো থাকার জন্য সালমান খান কাছের বন্ধুবান্ধব নিয়ে চলে গিয়েছিলেন এই খামারবাড়িতে। সেখানে গানের মিউজিক ভিডিও, শর্ট ফিল্ম আর নিজের একটা সাক্ষাৎকারের শুটিং সারেন সালমান।
মহামারির সময়ে সালমান তার কাছের বন্ধুদের নিয়ে এখানেই ছিলেন। সেই কাছের বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। প্রায় চার মাস এই খামারবাড়িতে ছিলেন জ্যাকলিন।
এই বাগানবাড়িতে একটি বিলাসবহুল পুল, একটি জিম আর বিশাল তিনটি মাঠ আছে। পুলের পাশেই রয়েছে বুদ্ধের মূর্তি। বসে আড্ডা দেওয়ারও জায়গা আছে বেশ কয়েকটা। মালাইকা অরোরা যখন সালমান খানের ভাবি ছিলেন, তখন এখানে মাঝেমধ্যে যোগব্যায়াম করতে যেতেন। সালমানের বিশাল বাগানবাড়িতে রয়েছে ১২টি শোবার ঘর।
ঢাকা/শান্ত