কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক গৃহবধূকে (২১) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চান্দিনা পৌর এলাকার বেলাশর গ্রামের আবুল কালাম (৩০) ও দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সানারপাড় পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. আমির হোসেন (২৯)। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, প্রায় তিন মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। অভিযুক্ত আমির হোসেন তাঁর (বাদী) পূর্বপরিচিত। একসময় একটি মামলা থেকে জামিন করতে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন। পরে আমির তাঁদের উপজেলার সানানগর এলাকায় বাসা ভাড়া করে দেন। প্রায়ই ওই বাসায় তিনি যাতায়াত করতেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১ অক্টোবর রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাঁদের পূর্বপরিচিত আবুল কালাম প্রথমে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরদিন রাতে আমির হোসেন ও কালাম আবার ওই বাসায় যান। একপর্যায়ে স্বামীকে দিয়ে কৌশলে খাবার আনতে দূরের একটি দোকানে পাঠান। এ সুযোগে তাঁরা গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। লজ্জা ও ভয় থেকে ভুক্তভোগী প্রথমে বিষয়টি গোপন করলেও পরে তাঁর এক বান্ধবীকে খুলে বলেন। এরপর ৪ অক্টোবর তাঁরা চান্দিনা সেনাক্যাম্পে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীর ওপর পরিকল্পিতভাবে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। সোমবার রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি।’

দেবীদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

মঈন উদ্দিন আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ হবধ ক প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক কিশোরীকে (১৭) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে গতকাল রোববার শৈলকুপা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ বিশ্বাস (৩০), হাবিবুর রহমান (৩৫) ও রইচ বিশ্বাস (৩২)। মামলার প্রধান আসামি এনামুল বিশ্বাসকে (৩২) এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
কিশোরীর মায়ের ভাষ্য, তাঁর মেয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এনামুল বিশ্বাস। দুই দিন আগে মেয়েকে মুঠোফোনে কল দিয়ে ডেকে নেন। এরপর বিলের মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন এনামুল। মেয়েটি কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে গেছেন। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান মেয়েটির মা।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান আসামি এনামুল বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আজ সোমবার সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঝিনাইদহে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার