‘নোংরা কনটেন্ট ছড়িয়ে সমাজকে দূষিত করা আপনার দায়িত্ব নয়’
Published: 8th, October 2025 GMT
আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন। এ আলাপচারিতায় সোশ্যাল মিডিয়ার ভিউ ব্যবসা ও সঞ্চালক-প্রযোজকদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেনে এই অভিনেত্রী। এই সাক্ষাৎকারের কিছু ভিডিও ক্লিপ এখন অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়েছে, ফলে তৈরি হয়েছে আলোচনা।
পিয়া জান্নাতুল তার সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। এ পোস্টের ক্যাপশনে যুক্ত করেছেন তার কিছু ভাবনা ও আহ্বান।
আরো পড়ুন:
স্পর্শিয়ার অস্ত্রোপচার, দোয়া চাইলেন অভিনেত্রী
‘ভাইস প্রিন্সিপাল’ তারকা মারা গেছেন
পিয়া জান্নাতুল বলেন, “যদি আপনি ক্যামেরার পেছনে কাজ করেন, তাহলে এটা আপনার দায়িত্ব সমাজকে গঠন করা, নোংরা কনটেন্ট ছড়িয়ে সমাজকে দূষিত করা নয়। শুধু ভিউ বা ট্রেন্ডের জন্য আবর্জনা আপলোড করা কারো কাজ হতে পারে না।”
তারকা ব্যক্তিত্বের কথা উল্লেখ করে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “যদি আপনি একজন পাবলিক ফিগার হন, মনে রাখবেন, মানুষ আপনাকে অনুসরণ করে, আপনার প্রতিটি কথা ও প্রতিক্রিয়া তাদের প্রভাবিত করে। তাই প্রত্যেকটা বেহুদা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া দরকার নেই। ভুল বার্তা ছড়ানো কখনো দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়।”
সঞ্চালকদের উদ্দেশে পিয়া বলেন, “প্রেজেন্টারদের বলব, এটা আপনার ৮০ শতাংশ দায়িত্ব যে, আপনি কী প্রশ্ন করছেন। প্রযোজক বা অন্য কেউ বললেও, আপনারই সচেতন থাকা উচিত। কারণ পরবর্তীতে মানুষ মনে রাখে না কে আপনাকে প্রশ্ন করতে বলেছিল, তারা মনে রাখে আপনি প্রশ্ন করেছিলেন।”
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে পিয়া বলেন, “তাই আসুন, আমরা সবাই একটু দায়িত্ব নিই, যা তৈরি করছি, তা যেন সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, দূষণ নয়।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
শিবিরের ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল। আজ বেলা পৌনে দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রদলের অভিযোগ, ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবনে (নতুন কলা ভবন) গিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। শ্রেণিকক্ষের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে প্রায় ২০ মিনিট ধরে ইতিহাস বিভাগের ৩২৩ নম্বর কক্ষে প্রচারণা চালানো হয়। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
অভিযোগ জানানোর সময় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান; চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শাফায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনী আচরণবিধিমালার ৪–এর ‘ঙ’ বিধিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ফ্যাকাল্টিতে যেখানে ক্লাস-পরীক্ষা হয় সেখানে কিংবা আশপাশে সভা-সমাবেশ করা যাবে না। ক্লাস-পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ, যেমন কোনো ধরনের সাউন্ড সিস্টেম বা মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সেদিকে সকল প্রার্থী বা তার সমর্থকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রশিবির প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক প্রধান মনির উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আচরণবিধি দেখাশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক কমিটি রয়েছে। তাঁদের কাছে লিখিত অভিযোগটি হস্তান্তর করা হবে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের শাখা সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইব্রাহীম প্রচারণা চালাতে ইতিহাস বিভাগে যাননি। নিজ বিভাগ হওয়ায় জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছেও অভিযোগ রয়েছে একটি প্যানেলের প্রার্থীরা শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে প্রচারণা চালিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানাব।’
ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটি নির্বাচন কমিশনে যে কেউ জানাতে পারে। আমার কাছে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যাখ্যা চাইলে আমি জবাব দেব।’