শহরের ব্যস্ত দিন, কাজের চাপ আর যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু দূরে, নিজের মতো সময় কাটানোর ইচ্ছা আজকাল আমাদের সবারই। মন চায় একটু সবুজের ছোঁয়া, শান্ত পরিবেশ আর এমন এক জায়গা, যেখানে নিঃশব্দে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো যায়। এই চাওয়াকে বাস্তব করে তুলছে ছুটি রিসোর্ট—যারা বিশ্বাস করে ভ্রমণ মানেই পুনর্জীবন আর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকার আনন্দ।

ছুটি রিসোর্ট গাজীপুর: শহর থেকে একটু দূরে, প্রকৃতির নিবিড় কোলে

ঢাকা থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে ছুটি রিসোর্ট গাজীপুর। যেখানে শহরের ক্লান্তি মিলিয়ে যায় গাছপালার ছায়ায়, পাখির কণ্ঠে আর সবুজের প্রশান্তিতে। করপোরেট ইভেন্ট, ফ্যামিলি ভ্যাকেশন বা উইকেন্ড রিট্রিট—সবকিছুর জন্যই এটি আদর্শ গন্তব্য।

প্রতিটি ভিলা ও রুমে রয়েছে আধুনিক সুবিধা, আবার একই সঙ্গে গ্রামীণ সৌন্দর্যের পরশ। এখানে সকাল শুরু হয় পাখির ডাক আর শিশিরভেজা ঘাসে পা রেখে হাঁটায়—যা দিনের শুরুটা করে তোলে সম্পূর্ণ ভিন্ন অনুভূতির।

ছুটি রিসোর্ট পূর্বাচল: শহুরে বিলাসিতা ও প্রকৃতির সংমিশ্রণ

যাঁরা শহর ছাড়তে চান না, কিন্তু প্রকৃতির ছোঁয়া চান, ছুটি রিসোর্ট পূর্বাচল তাঁদের জন্য একদম উপযুক্ত। ঢাকার খুব কাছেই এই রিসোর্টে আপনি একসঙ্গে পাবেন শহুরে আরাম ও রিসোর্ট-লাইফের প্রশান্তি। চাইলে এক দিনের ছুটি কাটাতে পারেন পরিবারের সঙ্গে, আবার করপোরেট ইভেন্ট বা বিশেষ আয়োজনের জন্যও এটি দারুণ একটি জায়গা।

এখানে ভ্রমণ মানে কেবল বিশ্রাম নয়, নতুন এক জীবনধারার অভিজ্ঞতা। যেখানে প্রকৃতি আর আধুনিকতা পাশাপাশি চলে।

ছুটি অরণ্যবাস: প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার অনুভব

যাঁদের কাছে ভ্রমণ মানে নিস্তব্ধতা, প্রকৃতির গভীরে হারিয়ে যাওয়া—ছুটি অরণ্যবাস তাঁদের জন্য স্বর্গের মতো। পুবাইলের প্রাকৃতিক আবহে পরিকল্পিত এই রিসোর্টে ভ্রমণকারীরা পাবেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক অনুভূতি—যেখানে প্রতিটি সকাল শুরু হয় সূর্যের আলোয় ভেজা পাহাড়ে আর রাত শেষ হয় তারাভরা আকাশের নিচে।

এখানে ভ্রমণ মানে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়া, শহরের ক্লান্তি ভুলে প্রকৃতির কোলে ফিরে যাওয়া।

ছুটি ফরেস্ট ইগল রিসোর্ট: প্রকৃতির কোলে নির্জন প্রশান্তির ঠিকানা

যাঁরা কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে নিঃশব্দে সময় কাটাতে চান, ছুটি ফরেস্ট ইগল রিসোর্ট তাঁদের জন্যই। সিলেটের শমশেরনগর এয়ারবেইজে অবস্থিত এই রিসোর্ট ‘ছুটি’র নতুন সংযোজন। সবুজ বনানী আর পাখির কলতানে ঘেরা এই রিসোর্টে প্রতিটি সকাল যেন নতুন করে জীবন শুরু করার আহ্বান জানায়। এখানে নেই শহরের ভিড়, আছে মুক্ত বাতাস, রাবারবাগান আর শান্ত জলাধারের পাশে বসে ভাবনায় ডুবে থাকার সুযোগ। পরিবারের সঙ্গে অবকাশযাপন, করপোরেট রিট্রিট বা ব্যক্তিগত বিশ্রামের জন্য এটি এক অনন্য গন্তব্য। ছুটি ফরেস্ট ইগল রিসোর্টে ভ্রমণ মানে, প্রকৃতির নির্জনতায় নিজেকে খুঁজে পাওয়া।

ভ্রমণের নতুন সংজ্ঞা: টেকসই ও সচেতন ভ্রমণ

বর্তমানে ভ্রমণকারীরা জানেন—ভ্রমণ শুধু আনন্দ নয়, এটি দায়িত্বও। ছুটি রিসোর্ট তাদের প্রতিটি প্রকল্পেই রেখেছে সেই দায়িত্বের ছোঁয়া—প্রকৃতি রক্ষায় যত্ন, স্থানীয় সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা আর পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো। কাঠের ভিলা কিংবা গাছের ফাঁকে বসে সকালের নাশতা—সবকিছুতেই আছে টেকসই উন্নয়নের ভাবনা।

এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’। ছুটি রিসোর্ট এই ধারণাই বাস্তবে রূপ দিচ্ছে প্রত্যেক ভ্রমণকারীর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে।

ভ্রমণ আমাদের শেখায়—পৃথিবী বিশাল, জীবন সুন্দর আর প্রকৃতি আমাদের আশ্রয়। ছুটি রিসোর্ট গাজীপুর, পূর্বাচল ও অরণ্যবাস কিংবা ছুটির যেকোনো রিসোর্ট সেই আশ্রয়েরই অংশ। যেখানে প্রতিটি জায়গা নতুন এক গল্প বলে, নতুন এক প্রশান্তি দেয়।

তাই এবার ছুটি মানেই শুধু অবকাশ নয়—এটা এক প্রতিশ্রুতি, টেকসই ভ্রমণের প্রতীক। যা রেখে যায় ইতিবাচক প্রভাব—আপনার মনে, সমাজে, অর্থনীতিতে এবং প্রকৃতিতে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই র স র ট প রক ত র স ভ রমণ ম ন র জন য ট কসই শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

উইন্ডোজ হালনাগাদ করার সময় সাবধান

উইন্ডোজ হালনাগাদের ভুয়া ছবি দেখিয়ে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ম্যালওয়ার প্রবেশ করাচ্ছে একদল সাইবার অপরাধী। ‘ক্লিকফিক্স’ নামে পরিচিত এই সাইবার হামলার মাধ্যমে ছবি ও ফাইলের ভেতর লুকিয়ে রাখা এনক্রিপ্টেড কোড চালিয়ে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দূর থেকে সংগ্রহ করছেন সাইবার অপরাধীরা।

ক্লিকফিক্স মূলত স্যোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভিত্তিক প্রতারণা। এতে ব্যবহারকারী ব্যক্তিরা নিজের অজান্তেই উইন্ডোজের কমান্ড প্রম্পটে সাইবার অপরাধীদের দেওয়া ক্ষতিকর কোড কপি পেস্ট করে চালু করেন। সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা জানিয়েছেন, ১ অক্টোবরের পর থেকে ক্লিকফিক্স আক্রমণে তথ্য চুরি করতে সক্ষম দুটি ম্যালওয়ার বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ভুয়া পেজগুলোতে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে কী চাপতে বলা হয়। কী চাপার সঙ্গে সঙ্গে সাইটে থাকা জাভাস্ক্রিপ্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষতিকর কোড কপি করে সেটি কমান্ড প্রম্পটে যুক্ত করে ফেলে।

সাইবার নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান হান্ট্রেস জানিয়েছে, এসব আক্রমণের মাধ্যমে ‘লুমা সি টু’ ও ‘রাডামানথিস’ নামের তথ্যচুরিভিত্তিক ম্যালওয়ার ছড়ানো হচ্ছে। আক্রমণকারী ব্যক্তিরা পিএনজি ছবি ও ফাইলের পিক্সেলের রং চ্যানেলের ভেতরেই এনক্রিপ্টেড কোড লুকিয়ে রাখে। ম্যালওয়ার হামলার শুরুতে উইন্ডোজের বিল্ট ইন ‘এমএসএইচটিএ’ টুল ব্যবহার করে ক্ষতিকর জাভাস্ক্রিপ্ট চালানো হয়। এরপর পাওয়ারশেল কোড এবং ‘ডটনেট’নির্ভর স্টেগো লোডার ছবির ভেতরে লুকানো পেলোড ডিক্রিপ্ট করে পুনর্গঠন করে। কোড বিশ্লেষণকারীদের চোখ ফাঁকি দিতে আক্রমণকারীরা ‘সি ট্রামপোলিন’ নামের কৌশল ব্যবহার করেছে।

উইন্ডোজ হালনাগাদের প্রলোভনে ম্যালওয়্যার ছাড়ানোর এ কার্যক্রম প্রথম শনাক্ত হয় অক্টোবরে। এ ধরনের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি উইন্ডোজের ‘রান’ অপশন প্রয়োজন না হলে নিষ্ক্রিয় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

আরও পড়ুনউইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে মাইক্রোসফটের সহায়তা সমর্থন শেষ হচ্ছে আজ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উইন্ডোজ হালনাগাদ করার সময় সাবধান