চুয়াডাঙ্গায় ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু
Published: 13th, October 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদ পানে গত দুইদিনে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবার (১২ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
ফতুল্লায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মারা যাওয়ারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের লাল্টু (৪৫), শংকর চন্দ্র মাঝের পাড়ার শহীদ মোল্লা (৫০), শঙ্করচন্দ্র টাওয়ার পাড়ার ছমির উদ্দীন (৫৫), খাজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), পিরোজখালি পূর্ব পাড়ার লালটু (৩৮) এবং নফরকান্দী গ্রামের খেদের আলী (৫৫)। তারা সবাই পেশায় দিনমজুর ও লেবারের কাজ করতেন।
ওসি খালেদুর রহমান জানান, গত ১০ অক্টোবর ১০-১২ জন ব্যক্তি ডিঙ্গেহ এলাকার গোপন স্থানে বিষাক্ত মদ পান করেন। গত ১১ অক্টোবর চার জনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার রাতে তিন জন অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে যান। তাদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন। একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরো জানান, পুলিশ মাঠ কাজ করছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।মারা যাওয়াদের মধ্যে চার জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনের মরদেহ ময়মাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একজন শিশুও যেন টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না পড়ে : ডিসি
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নারায়ণগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
এ সময় তিনি বলেন, ৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছরের নিচের শিশু কিশোররা এই টিকা পাবে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫ লক্ষ ১ হাজার ৭২১ জনকে ১৮ দিনের মধ্যে টিকা দেয়া হবে। একজনও যেন টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার হাজীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা সিভিল সার্জনের আয়োজনে এই টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, কোনো শিশু যদি কোনো কারণে বাদ পড়ে, তবে তারা পরবর্তীতে উপজেলা হাসপাতালের স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবে। কেউ যদি টাইফয়েড টিকা থেকে বঞ্চিত হয়ে ভবিষ্যতে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় তাহলে সেই দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তাবে।
আমরা আমাদের সন্তানদের দক্ষ ও সুস্থ সবল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই যারা আমাদের দেশের সম্পদে পরিণত হবে তারা যেন কোনোভাবেই রোগে আক্রান্ত না হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর হোসাইন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা শিরিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।