গাজা যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্য স্বাভাবিক হতে চলেছে—গতকাল রোববার ইসরায়েলের পথে উড়াল দেওয়ার আগে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন তিনি।

এয়ারফোর্স ওয়ানে করে ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েল রওনা হওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ যুদ্ধ শেষ, আপনারা এটা বুঝতে পারছেন।’

এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

ট্রাম্পের উদ্যোগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আজ সোমবার হামাসের জিম্মি মুক্তি দেওয়া শুরু করার কথা। বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

ট্রাম্পের উদ্যোগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজা নগরীতে নিজ নিজ ঘরে ফিরছেন। যদিও দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে গাজা নগরীর বেশির ভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল বিশেষ করে গাজা নগরীতে প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছে। নতুন যুদ্ধবিরতির পর আশা করা হচ্ছে, এ যুদ্ধ শেষ হবে।

রোববার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আগামীকাল থেকে নতুন পথের যাত্রা শুরু হবে। একটি নির্মাণের পথ, একটি সৃষ্টির পথ এবং আমি আশা করছি, এটি হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মিলনের পথ হবে।’

আগামীকাল থেকে নতুন পথের যাত্রা শুরু হবে। একটি নির্মাণের পথ, একটি সৃষ্টির পথ এবং আমি আশা করছি, এটি হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মিলনের পথ হবে।বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

একই আশা করছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীরাও। গাজার বাসিন্দা আবদু আবু সিয়াদা বলেন, সেখানে মানুষ অনেক আনন্দ করছে। তবে আনন্দের সঙ্গে আছে দুই বছরের যুদ্ধের ক্লান্তি। এ যুদ্ধে গাজার একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদরোসিয়ান বলেন, তাঁর সরকার আশা করছে, সোমবার ভোর থেকে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া  শুরু হবে এবং জীবিত ২০ জন জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঘরে ফিরে গাজাবাসী দেখছেন চারদিকে শুধুই ধ্বংসস্তূপ১১ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরের মধ্যে (জিএমটি ০৯:০০) বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে।  

ইসরায়েলের জিম্মি সমন্বয়কারী গাল হার্শ বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, মারা যাওয়া যেসব জিম্মির দেহাবশেষ হামাস খুঁজে বের করতে পারেনি, সেগুলো খুঁজে বের করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

ইসরায়েলের জিম্মি সমন্বয়কারী গাল হার্শ বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, মারা যাওয়া যেসব জিম্মির দেহাবশেষ হামাস খুঁজে বের করতে পারেনি, সেগুলো খুঁজে বের করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

আরও পড়ুনজিম্মিরা মুক্ত হওয়ামাত্রই গাজার সুড়ঙ্গগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের১৭ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প

রোববার ওয়াশিংটন থেকে রওনা হয়ে ট্রাম্পের সোমবার ইসরায়েলে পৌঁছানোর কথা। ইসরায়েলে পৌঁছানোর পর ট্রাম্প দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরের মধ্যে (জিএমটি ০৯:০০) বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে।  

সেখান থেকে তিনি মিসরে যাবেন। গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, সেটি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসরের শারম আল-শেখ রিসোর্টে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে একটি সম্মেলন করবেন তিনি।

২০টির বেশি দেশের নেতারা আন্তর্জাতিক ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনমিসরে ট্রাম্পের ‘শান্তি’ সম্মেলনে থাকছে না হামাস-ইসরায়েল৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র প র ব র করত স মব র

এছাড়াও পড়ুন:

এনায়েতনগরে এনসিপি নেতা আল আমিনের গণসংযোগ 

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল আমিন দিনভর গণসংযোগ করেছেন। শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এনায়েতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারনা চালায় এনসিপির নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন। 

দুপুরে মাসদাইর কবরস্থান মসজিদে জুমআর নামাজের পর গণসংযোগ শুরু করেন। মাসদাইর বাজার ও এর আশেপাশে প্রচার প্রচারনা চালানো হয়।

বিকেলে মাসদাইর পাকাপুল মসজিদ থেকে আব্দুল্লাহ আল আমিন এর নেতৃত্বে গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হয়। হেঁটে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এনায়েতনগর ৭নং ও ৮নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালনা করা হয়।

এসময় বেকারী মোড়, স্কুল ঘর, খানকার মোড়, গাইবান্ধা বাজার, ঘোষের বাগ, গুদারা ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, সমস্যা শোনা এবং নির্বাচনী অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়। 

গণসংযোগে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন এবং এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ