মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে ধোঁয়াশা
Published: 13th, October 2025 GMT
ফিলিস্তিনের শাসক গোষ্ঠী হামাস আজ সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় গাজা থেকে ১৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সকালে প্রথমে সাতজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ১৩ জনকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় জীবিত থাকা সব ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। খবর আল জাজিরার।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলে পৌঁছেছেন ট্রাম্প, পাচ্ছেন ‘প্রেসিডেন্ট পদক’
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির অপেক্ষায় স্বজনরা
তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হামাস হস্তান্তর করেনি। মৃত জিম্মিদের মধ্যে কতজনের মরদেহ আজ হস্তান্তর করা হবে তা স্পষ্ট নয়।
আলজাজিরার প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, মার্কিন পক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীরা আগে থেকেই জানত যে, সবার মরদেহ ফিরে আজ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার হলেও গাজা ভূখণ্ডের প্রায় ৫৩ শতাংশ এখনও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই বছরের যুদ্ধে ইসরায়েল বাহিনী পুরো গাজা উপত্যাকাকে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।
এ কারণে মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ খুঁজে বের করতে সমস্যায় পড়তে পারে হামাস। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মরদেহগুলো উদ্ধার করা, তারা কোথায় আছে তা জানা, তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা বেশ কঠিন একটি কাজ। এ কাজে বাইরের বিশেষজ্ঞদের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।
এদিকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি বিনিময়ে আজ প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও গাজা থেকে আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইসরায়েল।
আলজাজিরা জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলের ওফার কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে দুটি বাস ও রেডক্রসের গাড়ি বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল র মরদ হ ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীবরদীতে ৩৮০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ
শেরপুরের শ্রীবরদীতে পাচারকালে একটি গুদামে সরকারি সিল দেওয়া ৩৮০ বস্তা চাল আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত এগারটায় পৌরসভার শেখদী এলাকায় মেসার্স রুহুল রাইস মিলের গুদাম হতে পাচারকালে স্থানীয়রা চালগুলো আটক করে।
পরে খবর পেয়ে শ্রীবরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিব-উল-আহসান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রলিতে লোড করা চালের বস্তা আটক করে। বাকি চাল ও সরকারী সিল দেওয়া খালি বস্তা জব্দ করা হয়। পরে আটককৃত চালের বস্তা ট্রলি থেকে নামিয়ে পুনরায় গুদামে রেখে গুদামটি সিলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিব-উল-আহসান জানান, দীর্ধদিন ধরে একটি চক্র খাদ্য গুদাম ও ডিলারদের সাথে সিন্ডিকেট করে সরকারি চাল ক্রয়-বিক্রয় ও পাচার করে আসছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে রাতের আঁধারে চলে এই কর্মযজ্ঞ।
তবে স্থানীয়রা আইনের আওতায় আনার জন্য তাদের উপর নজর রাখছিল। শনিবার দিবাগত রাতে হাতেনাতে ধরে চাল ও গাড়ি প্রশাসনের হাতে তুলে দেন তারা। তবে গাড়ি ও গাড়ির চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, রাতেই অসাধু কিছু মানুষ সেই গুদামের পাশে থাকা প্রায় ৩০ বস্তা নিয়ে যায়। এই নিয়ে বর্তমানে এলাকাটিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হাসিব-উল-আহসান বলেন, “চালের মালিককে এখনও পাওয়া যায়নি। চালের বস্তাগুলো সরকারি কোন কর্মসূচির তা এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে চালের বস্তায় সরকারি সিল দেওয়া আছে। এ বিষয়ে এরইমধ্যে খাদ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলা হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। এ ব্যাপারে আমাদের তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/এস