সোনারগাঁয়ে নারীদের অংশগ্রহণে বিএনপির ব্যাতিক্রমী মুক্ত আলোচনা
Published: 13th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নারীদের অংশগ্রহণে ব্যাতিক্রমী উঠান বৈঠক, মুক্ত আলোচনা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছে উপজেলা মহিলা দল।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়নের পঞ্চবটি এলাকার মতিউর রহমান হাই স্কুল প্রাঙ্গণে এ ব্যাতিক্রমী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সালমা আক্তার কাজল।
এ সময় সাধারণ নারীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজিবের সহধর্মিণী সাদিয়া ইসলাম জুঁই, তার বোন মারিয়া ইসলাম মুন্নি।
সাদিয়া ইসলাম জুঁই বলেন,“আজকের নারী শুধুমাত্র সংসার সামলায় না, দেশও সামলায়। আমরা চাই এমন বাংলাদেশ, যেখানে আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ থাকবে, যেখানে ভোট দিতে পারব নিজের ইচ্ছায়, যেখানে ন্যায়ের শাসন ফিরবে।
বিএনপি সেই স্বপ্নের রাজনীতি করছে-মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার রাজনীতি।” আপনাদের সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।
মারিয়া ইসলাম মুন্নি তাঁর আবেগঘন বক্তব্যে বলেন,“এই দেশটা আমাদের, কিন্তু আজ আমরা আমাদেরই অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমাদের মা-বোনেরা কষ্টে আছে, ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
তাই ৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, এটা আমাদের বাঁচার স্বপ্ন। আমরা সবাই মিলে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।”তারেক রহমানের সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমার বাবা তার পুরো জীবন আপোষহীনভাবে জনগণের স্বার্থে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। আশা করি আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। একই সাথে সোনারগাঁ আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দিবেন।
এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পথে ফিরবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের মুক্তি নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মোস্তাক হোসেন, রাকিব হাসান, কাউসার আহমেদ, সোহেল প্রধান, সেলিম হোসেন দিপু, আলিনুর বেপারী,মাহফুজ ইসলামসহ কয়েক'শ নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত নারীদের হাতে হাতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহবান জানানো হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ব এনপ র আম দ র অন ষ ঠ স ন রগ ইসল ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে গৃহবধূ রিয়া মনিকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আদিল আটক
সোনারগাঁওয়ে রিয়া মনি (২১) নামে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী আদিল (২৭) এর বিরুদ্ধে। এঘটনায় আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের হাতে আটক আদিল গত আট বছর যাবৎ সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকায় অবস্থিত র্যাংগস গ্রুপের কারখানায় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করছেন। তার বাড়ি জামালপুর জেলার সদর থানার চুনুটিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম বাদশা মিয়া।
তিনি গত ১১ মাস আগে পারিবারিকভাবে একই জেলা ও থানার শেখপাড়ার (মন্ডলবাড়ির) হালিম মন্ডলের মেয়ে রিয়া মনিকে বিয়ে করে সোনারগাঁওয়ের র্যাংগস গ্রুপের আবাসিক কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন।
জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদিল তার স্ত্রীর জন্য সকালে নাস্তা আনতে বের হন। পরে সকাল ৯টার দিকে দুটি পরোটা নিয়ে কোয়ার্টারে আসেন আদিল।
এ সময় রুমে ঢুকে একটি ধারালো বটির আঘাতে স্ত্রী রিয়া মনির গলা কাটা ও মাথায় কোপ দিয়ে হত্যা করা রক্তাক্ত লাশ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখতে পান। এ সময় রুমের ভেতর কাউকে দেখতে না পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে, এলাকাবাসী ও র্যাংগসের নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, বিয়ের আগে আদিল আরেকটি বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। পরে রিয়া বিষয়টি জানার পর দাম্পত্য জীবনে উত্তেজনা ও ঝগড়া বাড়তে থাকে। তারা স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতরেই থাকতেন।
এদিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ পুলিশ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে স্বামী আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। পরে বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের (অঞ্চল-খ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ খ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বামী আদিলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।