বহু ফিলিস্তিনির প্রাণের বিনিময়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অবশেষে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, সেই নথিতে স্বাক্ষর করলেন বিশ্বনেতারা। এর মাধ্যমে ঐতিহাসিক গাজা চুক্তি কার্যকর হলো, যা গাজায় দীর্ঘ দুই বছরের ইসলায়েলি বিভীষিকার সাময়িক সমাপ্তি ঘটাতে সক্ষম হলো।

মিশরের শারম আল শেখ শহরে ‘গাজা পিস সামিট’ বা গাজা শান্তি সম্মেলন অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার পরই সবার আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথিতে সই দেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

‘মানবজাতির ইতিহাসে আপনার নাম খোদাই করা থাকবে’: ট্রাম্পকে নেতানিয়াহু

এবার ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল

মিশরে সোমবার (১৩ অক্টোবর) গাজা সামিটে বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি শান্তি প্রচেষ্টার অন্যান্য অংশীজনরাও যোগ দিয়েছেন।

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার লক্ষ্যে মিশরের বিখ্যাত পর্যটন শহর শারম আল শেখে ‘গাজা সামিট’ আয়োজন করা হয়।

সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দেন ট্রাম্প। সেখানে নেতানিয়াহুর প্রশংসা করে ইসরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দেন এবং একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানে তার পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার কথা শোনান।

ওই ভাষণের পরপরই গাজা সামিটে অংশ নিতে মিশরের উদ্দেশে রওনা হন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতো এই সামিটে অংশ নিয়েছেন ‍যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। ট্রাম্পের পর চুক্তিপত্রে তারাও সই করেন। 

যুদ্ধবিরতির চুক্তিপত্রে সই করার আগে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “আমরা কি নথিগুলো পেতে পারি?” তখন একটি সবুজ ফোল্ডার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সামনে রাখা হয়। তিনি তাতে স্বাক্ষর করেন এবং বলেন, “এই মুহূর্তে পৌঁছাতে তিন হাজার বছর লেগেছে, বিশ্বাস করতে পারেন? আর এটা টিকেও থাকবে।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর চুক্তিপত্রটি মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি, কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মধ্যে আদান–প্রদান হয়; তারা প্রত্যেকে তাতে নিজের স্বাক্ষর করেন।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বন্দীরা, নেসেটে ট্রাম্পের ভাষণের সময় হট্টগোল

ছবি: এএফপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ