মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বন্দীরা, নেসেটে ট্রাম্পের ভাষণের সময় হট্টগোল
Published: 13th, October 2025 GMT
ছবি: এএফপি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে
মহাকাশ মানেই রহস্যের শেষ নেই। আর তাই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে লুকিয়ে থাকা রহস্য উন্মোচন করতে আগ্রহী নাসা। সংস্থাটির তথ্যমতে, চাঁদের দক্ষিণ মেরু সৌরজগতের সৃষ্টি রহস্যের সূত্র ধারণ করছে। চিরস্থায়ী অন্ধকারে থাকা দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের তেমন বিস্তারিত কোনো তথ্য না থাকায় আর্টেমিস অভিযানের মাধ্যমে সেখানে বরফ ও অন্যান্য হিমায়িত উদ্বায়ী পদার্থ শনাক্তে অনুসন্ধান করা হবে। এর ফলে পৃথিবীতে কীভাবে পানি এসেছে তা নিয়ে নতুন তথ্য জানার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
কয়েক দশক ধরে চাঁদের দক্ষিণ মেরু আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে রহস্যময় ও অনাবিষ্কৃত স্থান হিসেবে আলোচিত। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান সূর্যালোকে আলোকিত সমভূমির বিপরীতে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটি চিরস্থায়ী অন্ধকারে ঢাকা থাকে। আর তাই সেখানে চাঁদের প্রাথমিক ইতিহাসের বিভিন্ন নমুনা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাসার আসন্ন অভিযানে বরফ ও অন্যান্য হিমায়িত উদ্বায়ী পদার্থের উপস্থিতি নিশ্চিত করা ছাড়াও সৌরজগতের গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাবে।
আরও পড়ুনচাঁদ আসলে কী২৮ ডিসেম্বর ২০২৪নাসার তথ্যমতে, চাঁদের দক্ষিণ মেরু এ পর্যন্ত অন্বেষণ করা অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে ভিন্ন। সেখানের শ্যাকলটন, হ্যাথ ও ফস্টিনি নামের খাদে সরাসরি সূর্যের আলো প্রবেশ করে না। এর ফলে সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসে। সেই অন্ধকারে পানি, কার্বন ডাই–অক্সাইড, অ্যামোনিয়া ও মিথেনের মতো উদ্বায়ী পদার্থ অক্ষত অবস্থায় থাকতে পারে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিভিন্ন হিমায়িত পদার্থ প্রাচীন ধূমকেতু ও গ্রহাণুর মাধ্যমে চাঁদে জমা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি দীর্ঘমেয়াদি বাসস্থান ও গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে নাসার আর্টেমিস বেস ক্যাম্প।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনপৃথিবী থেকে চাঁদের অন্য পাশ দেখা যায় না কেন০২ মে ২০২৫