গাজীপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
Published: 14th, October 2025 GMT
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় একটি পেট্রলপাম্পে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পক্ষ থেকে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে কাপাসিয়া থানায় মামলাটি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিপিসির নির্দেশনায় সম্প্রতি বিভিন্ন পেট্রলপাম্পে অভিযান চালানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের আমরাইদ-গিয়ায়পুর সড়কে ‘মেসার্স জমজম ট্রেডার্স’ নামের একটি মিনি পেট্রলপাম্পে অভিযান চালানো হয়। তখন স্থানীয় লোকজন এ সময় হামলা করেন। পদ্মা অয়েল কোম্পানির প্রতিনিধি মো.
মো. সালাউদ্দিন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পাম্পে কিছু অনিয়ম ধরা পড়লে সেখান থেকে প্রায় ৫০ লিটার পেট্রল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি পাম্পের মালিককে প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত কাগজপত্র ঠিক করে ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় কিছু লোক জড়ো হয়ে ‘ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট’ ও ‘ভুয়া পুলিশ’ স্লোগান দিতে শুরু করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটের মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। হামলায় গাড়িটির সামনের ও দুই পাশের কাচ ভেঙে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত কাপাসিয়া থানার অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
বিপিসির কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, স্থানীয় লোকজনকে উসকানি দিয়ে পাম্পের মালিকপক্ষ এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এ বিষয়ে কথা বলতে পাম্পের মালিক মোতাহার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রব প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিপিসির একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওমর ফারুক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীপুরে কথা–কাটাকাটির জেরে ৫ সহপাঠীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ, কিশোর পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কথা-কাটাকাটির জেরে একটি মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরেক কিশোর শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে উপজেলার গাড়ারণ গ্রামের গাড়ারণ খলিলিয়া বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মো. রিফাত, নাদিম মাহমুদ, মুহিন মিয়া, রিফাত আহমেদ ও মো. রাশিদুল। তাঁরা সবাই শ্রীপুরের গাড়ারণ খলিলিয়া বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত কিশোর একই উপজেলার বাসিন্দা ও ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুজনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ওই মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলার সময় অভিযুক্ত কিশোর বেঞ্চে বসে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় সহপাঠীদের দু-একজন তাঁকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হচ্ছিল। ওই সময় অভিযুক্ত কিশোর ছুরি নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
আরেক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাদ্রাসার রান্নাঘরের পাশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছুরি নিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ওই কিশোর। এ সময় রাস্তার ওপর একটি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে ছিল। হামলার পর খুব দ্রুত সেটিতে ওঠে সে পালিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ সেখানে এসেছিলেন বলে জানান মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ঘটনা ঘটিয়ে ওই শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আবদুল বারিক।