অফিস ২০১৬ ও অফিস ২০১৯ সংস্করণের জন্য আর কোনো প্রযুক্তি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। ১৪ অক্টোবর থেকে এই দুটি সংস্করণের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা হালনাগাদ, ত্রুটি সংশোধন বা প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে না প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তি সহায়তা না পেলেও সফটওয়্যার দুটি ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যবহারকারীরা সাইবার হামলা ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির মুখে থাকবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, অফিস ২০১৬ সংস্করণের প্রধান সহায়তা কার্যক্রম শেষ হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। এর তিন বছর পর অফিস ২০১৯ সংস্করণেরও সহায়তা কার্যক্রম শেষ হয়। এবার পুরোপুরি মাইক্রোসফটের সমর্থন প্রত্যাহার হওয়ায় পুরোনো সংস্করণগুলো ব্যবহার করলে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং উৎপাদনশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আর তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন সংস্করণে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিতে হবে ব্যবহারকারীদের।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, স্কাইপ ফর বিজনেস ২০১৬ ও ২০১৯ সংস্করণের সহায়তাও এই সপ্তাহে শেষ হয়েছে। সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা বন্ধ হলেও স্কাইপ ফর বিজনেসের পুরোনো সংস্করণটি ব্যবহার করা যাবে, তবে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আর তাই নিরাপত্তা ও কাজে প্রতিবন্ধকতা এড়াতে ব্যবহারকারীদের দ্রুত নতুন সংস্করণে হালনাগাদ করতে হবে।

গত সপ্তাহ থেকে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ফলে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ সমস্যা সমাধানে ব্যবহারকারীদের দ্রুত উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স স করণ র ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বছরজুড়ে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ক্ষতিকর ফাইল শনাক্ত করেছে ক্যাসপারস্কি

২০২৫ সালে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখ ক্ষতিকর ফাইল শনাক্ত করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি বুলেটিনের তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের সাইবার হুমকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যার মধ্যে পাসওয়ার্ড চুরির জন্য ম্যালওয়্যার ৫৯ শতাংশ, স্পাইওয়্যার ৫১ শতাংশ ও অন্যান্য হামলা ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্যাসপারস্কি বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার হামলার ঝুঁকিতে ছিলেন। মোট হামলার ৪৮ শতাংশই উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ২৭ শতাংশ ব্যবহারকারী অনলাইনভিত্তিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং ৩৩ শতাংশ ইউএসবি, ডিস্ক বা ইনস্টলারের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হয়েছে।

ক্যাসপারস্কির থ্রেট রিসার্চ বিভাগের প্রধান আলেকসান্দার লিসকিন বলেন, বর্তমান সাইবার–দুনিয়া আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে জটিল। করপোরেট নেটওয়ার্কে ঢোকার সবচেয়ে সহজ উপায় এখনো সফটওয়্যারের দুর্বল জায়গা ও চুরি হওয়া পাসওয়ার্ড। তাই পাসওয়ার্ড চুরি ও স্পাইওয়্যার অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন আক্রমণও বেড়েছে, বিশেষ করে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারকে লক্ষ্য করে। এ পরিস্থিতিতে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা কৌশল না থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ সময় কার্যক্রম বন্ধ থাকার ঝুঁকিতে পড়বে। একইভাবে ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীরাও দুর্বল সুরক্ষার কারণে নিজের তথ্যের পাশাপাশি নিজেদের কর্মস্থলের তথ্যও ঝুঁকিতে ফেলতে পারেন।

২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের সব অঞ্চলে সাইবার হুমকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এপিএসি ও ইউরোপে পাসওয়ার্ড স্টিলার ও স্পাইওয়্যার হামলা সবচেয়ে দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরিচিত উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড বা লিংকে ক্লিক না করার পাশাপাশি সব সময় দুই স্তরেরর নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ক্যাসপারস্কি। এ ছাড়া প্রতিটি অ্যাকাউন্টে শক্তিশালী ও আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহারসহ নিয়মিত সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বছরজুড়ে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ক্ষতিকর ফাইল শনাক্ত করেছে ক্যাসপারস্কি
  • ২০ বছর আগে বিল গেটসের ঢাকা সফর ও বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ