গাজীপুরের শ্রীপুরে আটক হওয়ার পর হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে গেছেন মো. মনির হোসেন (৩৫) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের কাচারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ার চরাঞ্চলে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৯

পদ্মার চরে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’, ৬৭ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার 

মনির হোসেন ওই গ্রামের মো.

বুজরত আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মনির রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুইটি মোটরসাইকেলে চারজন সাদা পোশাকধারী লোক এসে তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করেন। এ সময় মনির চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে বাধা দেন। তখন ওই ব্যক্তিরা পরিচয় দিতে গড়িমসি করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের চাপে তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান এবং মনিরকে হ্যান্ডকাফসহ লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

মনিরের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, “ছেলেকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। স্থানীয়রা না গেলে হয়তো তাকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না। পরে পুলিশ এসে বলে, মনির নাকি তাদের হাত থেকে পালিয়েছে।”

মনিরের বোন মিনারা খাতুন জানান, ঘটনার ১ ঘণ্টা পর রাতে পুলিশ তাদের ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার বাগচালা গ্রামে যান এবং সেখানে ভাইয়ের শ্যালক ফাহাদ হোসেনকে আটক করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার বলেন, “আসামিকে আটক করার পর পালিয়ে গেছে।”

তবে তিনি সাদাপোশাকে ছিলেন কি না বা সঙ্গে কতজন পুলিশ সদস্য ছিলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে কিছু না বলেই ফোন কেটে দেন। পরে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন, “পলাতক মনির হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তার শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালানো হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।”

ঢাকা/রফিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক আওয় ম ল গ স ব চ ছ স বক ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ধসিয়ে দিয়েছে রাশিয়া, অন্ধকারে বিভিন্ন অঞ্চল

ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালানোর পর দেশটিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। আজ রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটের সতকর্তা জারি করেছে দেশটির বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ইউক্রেনেরর্গো। হামলার জেরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যের’ কোঠায় নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনের বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কয়েক শ ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত শনিবার ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক জানিয়েছেন, কিয়েভ, নিপ্রোপেত্রাভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমিতে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে সেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাট থাকবে।

স্থানীয় টেলিভিশন ইউনাইটেড নিউজকে ভিতলানা গ্রিনচুক বলেছেন, শত্রুরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এটি প্রতিহত করা খুব কঠিন। আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা হয়নি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিয়া জানিয়েছেন, রুশ ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্দ্রি সিবিয়া তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির জবাব দিতে আমরা আইএইএর গভর্নর বোর্ডের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানাচ্ছি।’

হামলা বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চীন ও ভারতের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশ দুটি রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলার কারণে শীতের আগে ইউক্রেনের তাপ সরবরাহ ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়েছে। দেশটির শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেকজান্দ্রা খারচেঙ্কো সতর্ক করে বলেছেন, তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসবে, তখন কিয়েভের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তাপকেন্দ্র তিন দিনের বেশি বন্ধ থাকলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ তৈরি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ