ঢাকার ধামরাইয়ে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় আবু সাঈদ নামে এক ব্যবসায়ীর ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রির দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মেসার্স আফিফা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ নামের ওই দোকানে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। 

আরো পড়ুন:

আলেকজান্ডার বাজারে আগুনে পুড়ল ১৫ দোকান

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় কাঠের স্তূপে আগুন

রবিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দোকান বন্ধ করে চলে যান ব্যবসায়ী। রাত প্রায় ৮টার দিকে শাটারের নিচ দিয়ে ধোঁয়া দেখতে পান পথচারীরা। পরে শাটার ভেঙে ফেললে আগুনের কুণ্ডলি দেখা যায়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে পানি ও বালু নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা। এতে ইলেকট্রনিকস পণ্য, নগদ টাকা, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে যায়। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভুক্তভোগী আবু সাঈদের বাবা সোনা মিয়া বলেন, “রাতে দোকান বন্ধ করে চলে যাই। এর আধা ঘণ্টা পর আগুনের খবর পাই। এসে দেখি এলাকার লোকজন আগুন নেভাচ্ছে। প্রায় ৩০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে প্রায় ২০ লাখ টাকার জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ইলেকট্রনিকস পণ্য।”

ঢাকা/সাব্বির/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন আগ ন ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ধসিয়ে দিয়েছে রাশিয়া, অন্ধকারে বিভিন্ন অঞ্চল

ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালানোর পর দেশটিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। আজ রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটের সতকর্তা জারি করেছে দেশটির বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ইউক্রেনেরর্গো। হামলার জেরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যের’ কোঠায় নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনের বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কয়েক শ ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত শনিবার ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক জানিয়েছেন, কিয়েভ, নিপ্রোপেত্রাভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমিতে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে সেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাট থাকবে।

স্থানীয় টেলিভিশন ইউনাইটেড নিউজকে ভিতলানা গ্রিনচুক বলেছেন, শত্রুরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এটি প্রতিহত করা খুব কঠিন। আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা হয়নি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিয়া জানিয়েছেন, রুশ ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্দ্রি সিবিয়া তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির জবাব দিতে আমরা আইএইএর গভর্নর বোর্ডের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানাচ্ছি।’

হামলা বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চীন ও ভারতের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশ দুটি রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলার কারণে শীতের আগে ইউক্রেনের তাপ সরবরাহ ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়েছে। দেশটির শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেকজান্দ্রা খারচেঙ্কো সতর্ক করে বলেছেন, তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসবে, তখন কিয়েভের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তাপকেন্দ্র তিন দিনের বেশি বন্ধ থাকলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ তৈরি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ