আজ রোববার স্পেনের মারবেয়াতে অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান ৭০.৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের দুই ট্রায়াথলেট মো. ইমতিয়াজ বিন ফারুক ভূঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান সফল হয়েছেন। অর্ধদূরত্বের এই আয়রনম্যানের বিশ্ব আসরে সাড়ে আট ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ১ দশমিক ৯ কিলোমিটার সাঁতার, ৯০ কিলোমিটার সাইক্লিং ও ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করতে হয়। সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড় নিয়ে যে খেলা, সেই ট্রায়াথলনের কঠিনতম প্রতিযোগিতা হলো আয়রনম্যান। আয়রনম্যানের বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষ বছরজুড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পূর্ণ ও অর্ধদূরত্বের (৭০ দশমিক ৩) আয়রনম্যান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। আয়রনম্যানের সর্বোচ্চ আসর হলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।

মো.

ইমতিয়াজ বিন ফারুক ভূঁইয়া ৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে আয়রনম্যান ৭০.৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সম্পন্ন করেন। তিনি তাঁর বয়স গ্রুপে (৩৫–৩৯ বছর) ৪৯৩ জনের মধ্য ৪৯০তম স্থান অধিকার করেছেন। প্রতিযোগিতায় মোট ৩ হাজার ৩৩৩ জন বিভিন্ন দেশের ট্রায়াথলেট অংশ নেন।

মোস্তাফিজুর রহমান ৮ ঘণ্টা ৬ মিনিট ১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে আয়রনম্যান ৭০.৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সম্পন্ন করেন। তিনি তাঁর বয়স গ্রুপে (৩৫-৩৯ বছর) ৪৯৩তম স্থান পেয়েছেন। বাংলাদেশের দুজনই গত মে মাসে অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান ৭০.৩ মালয়েশিয়া থেকে স্পেনের এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেন।

স্পেনের মারবেয়াতেই গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে নারীদের আয়রনম্যান ৭০.৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশের নারী ট্রায়াথলেট ফেরদৌসি আক্তার মারিয়া এতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ৬০০ মিটার সাঁতার কাটার পর ঠান্ডা পানিতে তাঁর মাংসপেশিতে টান লাগে। তারপর আয়রনম্যান কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মারিয়াও আয়রনম্যান ৭০.৩ মালয়েশিয়াতে সফল হয়েছিলেন।

আজকের আয়রনম্যান ৭০.৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন যথাক্রমে বেলজিয়ামের জেলি জিনস, নরওয়ের ক্রিস্টিয়ান ব্লুমেনফিল্ট ও ক্রেসপার স্টর্নারস।

ইন্টারনেট অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ফাইনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস) মো. ইমতিয়াজ বিন ফারুক ভূঁইয়া হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ একটু কঠিনই হয়। আজ পানি খুব ঠান্ডা ছিল। এ ছাড়া সাইক্লিংয়ের রাস্তাটা ছিল খুবই উঁচু। তারপরও পেরেছি।’ ইমতিয়াজ এর আগে দেশে অনুষ্ঠিতে বিভিন্ন ম্যারাথন, আলট্রা ম্যারাথন ও হাফ ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন।

পেশায় চাকরিজীবী মোস্তাফিজুর রহমান একজন দূরপাল্লার সাঁতারু। ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন দৌড় ও সাঁতার প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নেন। তিনি নেপালের পোখরায় আলট্রা ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের আয়রনম্যান ও জার্মানির রথ ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার জন্য আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র আয়রনম য ন অন ষ ঠ ত ইমত য় জ

এছাড়াও পড়ুন:

একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম‍্যান আরাফাত

সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক আমি। বাসার কাছেই ছিল একটি ওষুধের দোকান। সেখানে পত্রিকা রাখা হতো। স্কুলে যাওয়া–আসার পথে সেই দোকানে বসে পত্রিকা পড়তাম।

কলেজে ওঠার পর প্রথম আলোতে একদিন বাংলা চ‍্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর পড়ি। পড়ে রোমাঞ্চিত হই। চিন্তা করি, কীভাবে সম্ভব সাগরে সাঁতার কাটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও সেটি মাথায় ছিল। ২০১৩ সালে সাঁতারু লিপটন সরকার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। বাংলা চ‍্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি উৎসাহ দিলেন। শুরু হলো অনুশীলন। ২০১৫ সালে সাঁতরে পাড়ি দিলাম ওই চ্যানেল। সেই খবর ছাপল প্রথম আলো। কাছের-দূরের, কম পরিচিত-বেশি পরিচিত—সবাই খবরটা জেনে শুভেচ্ছা জানালেন। অনেক উৎসাহ পেলাম।

আমার রোমাঞ্চকর যাত্রা অব্যাহত থাকল। ২০১৭ সালে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে নামলাম। উদ্দেশ্য ছিল ‘দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থতা’র বার্তা ছড়ানো। ২০ দিনের সেই যাত্রার গল্প ছাপা হলো ‘ছুটির দিনে’তে। শিরোনাম আজও মনে আছে, ‘দৌড়ে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’। খবরটি দেখে সেই দিন এতটা নার্ভাস লাগছিল যে সারা দিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি।

‘চ্যালেঞ্জ রথ’ ট্রায়াথলনে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম‍্যান আরাফাত