পরাশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা আর আঞ্চলিক সংঘাতের মধ্যে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে বাংলাদেশের। এমন এক প্রেক্ষাপটে বাস্তবসম্মতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া এবং নিজের স্বার্থের নিরিখে ভূরাজনীতির ক্ষেত্রে স্বাধীন অবস্থান নেওয়াটা বাঞ্ছনীয়।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ভূরাজনীতি নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে বিশ্লেষকেরা এমন অভিমত দিয়েছেন। তাঁদের মতে, সারা বিশ্ব ক্রমবর্ধমান হারে সামরিকীকরণ হচ্ছে এবং নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়া থেকে সরে যাচ্ছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শুল্কযুদ্ধ’ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে পর্যুদস্ত করে তুলেছে।

ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস ‘নেভিগেটিং জিওপলিটিক্যাল ডায়নামিকস: টুওয়ার্ডস আ কোরিয়া-বাংলাদেশ ফিউচার পার্টনারশিপ’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ফারুক সোবহান এবং ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। দুই পর্বে বিভক্ত সেমিনারের প্রথম অংশে দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং দ্বিতীয় অংশে মার্কিন শুল্কের আমলে কোরিয়া-বাংলাদেশের সমন্বিত অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।

ফারুক সোবহানের সঞ্চালনায় প্রথম অংশে রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক, দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সং কিউংজিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান অংশ নেন।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবিরের সঞ্চালনায় দ্বিতীয় অংশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান, এয়ারপোর্ট ইন্ডাস্ট্রি টেকনোলজি রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট সং চি-উং এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী অংশ নেন।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ূন কবির বলেন, বাংলাদেশ বড় শক্তিগুলোর রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তে পড়তে পারে এবং আঞ্চলিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্র–চীন শুল্কযুদ্ধের পাশাপাশি ভারত–পাকিস্তান ও পাকিস্তান–আফগানিস্তান সম্ভাব্য সংঘাতের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, বর্তমানে অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের উত্থানও দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত এখন অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ নিয়ে আরও বেশি কথা বলছে। পাল্টাপাল্টি শুল্ক তারই একটি প্রতিফলন। বিশ্ববাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য মিথস্ক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বহুপাক্ষিকতা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলেন, সারা বিশ্ব বাংলাদেশের সংস্কারপ্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই চায়, বাংলাদেশ একটি উদার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হোক। গণতান্ত্রিক রূপান্তর কতটা সফলভাবে সম্পন্ন হয়, তার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভাজনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি দেশের স্থিতিশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

হুমায়ূন কবির বলেন, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালী করতে হবে। সারা বিশ্ব বাংলাদেশের সংস্কারপ্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই চায়, বাংলাদেশ একটি উদার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হোক। গণতান্ত্রিক রূপান্তর কতটা সফলভাবে সম্পন্ন হয়, তার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, বৈশ্বিকভাবে বহুপক্ষীয় নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা এখন আর বলতে পারেন না যে শুধু প্রতিযোগিতামূলক দাম থাকলেই তাঁরা তাঁদের পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। কারণ, শুল্কযুদ্ধ পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ওলট–পালট করে দিয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায়িক সংকট বাড়ছে, সঙ্গে যোগ হয়েছে মার্কিন পাল্টাপাল্টি শুল্ক, যাতে পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, ভূরাজনৈতিক সমন্বয় থেকে অস্থির শুল্কনীতি পর্যন্ত চারপাশের বিশ্ব–ঐতিহ্যবাহী নীতি কাঠামোগুলো মানিয়ে নেওয়ার গতির চেয়ে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সহজ পণ্য উৎপাদন থেকে জটিল পণ্য উৎপাদনে জোর দিয়েছেন এ অর্থনীতিবিদ।

মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে পাস হওয়া ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ প্রসঙ্গে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, বিলটিতে বেশ কয়েকটি উপাদান রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমটি হলো চীন থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র কেনা থেকে তৃতীয় দেশগুলোকে নিরুৎসাহিত করা। দ্বিতীয়ত, তৃতীয় দেশগুলোর কাছে মার্কিন অস্ত্রের বিক্রি বাড়ানো। তৃতীয়ত হলো যে দেশগুলো চীনা অস্ত্র সংগ্রহ করে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য সম্ভাবনাগুলোও খতিয়ে দেখা।

অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, ঢাকা–সিউল সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষায় একসঙ্গে কাজ করতে পারে। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়া ভূমিকা রাখতে পারে। ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ নিয়ে যে নতুন সমীকরণ হচ্ছে, সেখানে কোরিয়া বিকল্প উৎস হতে পারে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ অংশীদার, যেখানে দেড় শর বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। আমরা শুধু দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নয়, আঞ্চলিক সহযোগিতাও বাড়াতে চাই। বাংলাদেশের ভূমিকাও আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সং কিয়ংজিন বলেন, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যেও দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের প্রতি তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক র ব শ বব দ য ভ র জন ত র জন ত ক র ওপর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মামদানিকে ঠেকাতে নাগরিকত্ব বাতিলের কথা বলছেন রিপাবলিকানরা, তা কি সম্ভব

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের প্রথম মুসলিম মেয়রের পদে বসছেন জোহরান মামদানি। শহরটিতে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মেয়রও হচ্ছেন তিনি। এটি মোটেও মেনে নিতে পারছেন না মামদানির রিপাবলিকান নিন্দুকেরা। যেকোনো মূল্যে তাঁর মেয়র পদে বসা ঠেকাতে চাচ্ছেন তাঁরা। তাই এবার মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের কথা বলছেন।

নির্বাচনের আগে থেকে মামদানিকে নিয়ে নানা কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উগান্ডায় জন্ম নেওয়া ৩৪ বছর বয়সী এই মুসলিমকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তাঁর মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। এমনকি হুমকি দিয়ে এ–ও বলেছেন, মামদানি মেয়র হলে নিউইয়র্কে কেন্দ্রীয় তহবিল বন্ধ করে দেবেন।

ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে রিপাবলিকান কয়েকজন আইনপ্রণেতা মামদানির নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রক্রিয়া তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। কয়েকজন আবার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার কথা বলেছেন। এই আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ মামদানি কমিউনিস্ট এবং ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যদিও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তাঁরা।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে মামদানির নাগরিকত্বের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেছিলেন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্য অ্যান্ডি ওগলেস। পরে গত ২৯ অক্টোবর তিনি বলেন, ‘মামদানি যদি নাগরিকত্ব–সংক্রান্ত নথিপত্রে মিথ্যা বলে থাকেন, তাহলে তিনি নাগরিক থাকতে পারবেন না। আর অবশ্যই নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

জোহরান মামদানির জন্ম উগান্ডায়। ১৯৯৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। ২০১৮ সালে দেশটির নাগরিকত্ব পান।

মামদানিকে কমিউনিস্ট ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ওগলেস আরও বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সমাজতন্ত্র বা সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করতে হয়। আমার সন্দেহ আছে তিনি (মামদানি) এগুলো প্রকাশ করেছিলেন কি না। আমার এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে উগান্ডায় যাওয়া প্রথম ফ্লাইটেই তাঁকে ফেরত পাঠান।’

মামদানির নাগরিকত্ব নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন প্রতিনিধি পরিষদে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সদস্য রেন্ডি ফাইন। ফাইন ও ওগলেস—দুজনের কাছেই তাঁদের বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল মার্কিন ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট পলিটিফ্যাক্ট। তবে কোনো জবাব দেননি তাঁরা। আর মামদানি তাঁর নাগরিকত্বের আবেদনে মিথ্যা বলেছিলেন—এমন কোনো তথ্যও পায়নি ওয়েবসাইটটি।

জোহরান মামদানির জন্ম উগান্ডায়। ১৯৯৮ সালের মাত্র সাত বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। ২০১৮ সালে দেশটির নাগরিকত্ব পান। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকত্ব পেতে একজন বিদেশি প্রাপ্তবয়স্ককে অবশ্যই আইন মেনে টানা পাঁচ বছর বসবাস করতে হবে। আর মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করলে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য দেশটিতে অন্তত তিন বছর টানা বসবাস করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল শুধু দেশটির আদালত করতে পারেন। মামদানির নাগরিকত্বের আবেদন দিয়ে ওগলেস ও ফাইন যে অভিযোগ এনেছেন, তার পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখছেন না অভিবাসী আইনবিশেষজ্ঞরা। অভিবাসনবিষয়ক আইনজীবী জেরেমি ম্যাককিনলে বলেন, ‘মামদানি নাগরিক হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় অযোগ্য ছিলেন বা নথিতে কোনো কিছু লুকিয়েছেন—এমন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আমার চোখে পড়েনি।’

মামদানি একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী। তিনি ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট অব আমেরিকা নামের একটি সংগঠনের সদস্যও।রিপাবলিকানদের অভিযোগ পুরোনো

গত গ্রীষ্মে মামদানি যখন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখন থেকে তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেন রিপাবলিকানরা। গত জুনে পাম বন্ডিকে লেখা একটি চিঠিতে মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ওগলেস। তিনি বলেছিলেন, মামদানি হয়তো ‘নাগরিকত্ব গ্রহণের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃত করেছিলেন বা সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের কথা গোপন করেছিলেন।’

‘হোলি ল্যান্ড ফাইভের’ প্রতি সমর্থন জানিয়ে মামদানির লেখা একটি র‍্যাপ সংগীতের কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন ওগলেস। হোলি ল্যান্ড ফাইভের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে মুসলিম দাতব্য সংস্থা ‘হোলি ল্যান্ড ফাউন্ডেশনের’ পাঁচ ব্যক্তিকে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থনের জন্য ২০০৮ সালে তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। যদিও ওই মামলায় উপস্থাপন করা প্রমাণ ও গুজবের ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন কয়েকজন আইনজীবী।

নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে বিরল হলেও ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে তা প্রায়ই ঘটছে বলে উল্লেখ করেছেন নিউইয়র্কের হফস্ট্রা ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ইরিনা মান্ত্রা।মা, বাবা ও স্ত্রীর সঙ্গে জোহরান মামদানি

সম্পর্কিত নিবন্ধ