হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা প্রেম চোপড়াকে। শনিবার (৮ নভেম্বর) ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা।
ইন্ডিয়া টুডে-কে প্রেম চোপড়ার জামাতা বিকাশ বালা বলেন, “অভিনেতা এখন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। সবই বার্ধক্যজনিত সমস্যা। এটি নিয়মিত একটি প্রক্রিয়া; চিন্তার কিছু নেই।”
আরো পড়ুন:
‘প্রযোজক আমাকে লিভ-টুগেদারের প্রস্তাব দেয়’
ফের হাসপাতালে ধর্মেন্দ্র
এরই মাঝে খবর ছড়িয়ে পড়ে প্রেম চোপড়াকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রেম চোপড়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে ডা.
প্রেম চোপড়ার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে ডা. পারকার বলেন, “আমি একই টিমে তার চিকিৎসক হিসেবে রয়েছি। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নয়, ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।”
১৯৬১ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন প্রেম চোপড়া। তার বাবা চাইতেন ছেলে চিকিৎসক হোক। কিন্তু স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর মুম্বাই পাড়ি জমান অভিনেতা হওয়ার উদ্দেশ্যে। শুরুতে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই চলচ্চিত্রে আসেন, কিছু পাঞ্জাবি সিনেমায় নায়কের চরিত্রে অভিনয়ও করেন। তবে হিন্দি সিনেমায় নায়ক হিসেবে সেভাবে সাফল্য পাননি। ধীরে ধীরে খলনায়ক চরিত্রে প্রস্তাব আসতে শুরু করে, আর তাতেই তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায়।
৯০ বছর বয়সি কিংবদন্তি অভিনেতা প্রেমে চোপড়া পাঞ্জাবি ভাষার ‘চৌধুরী কর্নেল সিং’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। মুক্তির পর এটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। অল্প সময়ের মধ্যেই তার অনবদ্য উপস্থিতি ও অভিনয় দক্ষতার কারণে হিন্দি চলচ্চিত্রে সুপরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। মূলত, খলনায়ক হিসেবে বিখ্যাত, তবে কমেডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
ছয় দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রেম চোপড় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার সময়ের প্রায় সব শীর্ষ তারকার সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো—‘শহীদ’ (১৯৬৫), ‘উপকার’ (১৯৬৭), ‘দো রাসতে’ (১৯৬৯), ‘কাটি পতঙ্গ’ (১৯৭০), ‘ববি’ (১৯৭৩), ‘দো আজানে’ (১৯৭৬), ‘দোস্তানা’ (১৯৮০), ‘ক্রান্তি’ (১৯৮১) প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১, আহত ৭
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাতজন। সোমবার মধ্যরাত ৩টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে তাদের মারধর করেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামিম মিয়া একই উপজেলার ফুলারপাড় গ্রামের মুন্নু মিয়ার ছেলে।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর করা সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে, মামলা
আহতরা হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার হাশেমের ছেলে লিটন (৩০), একই জেলার উজিরপুর থানার সকরাইল গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (৩২), বাবুগঞ্জ থানার চর ফতেপুর গ্রামের আ. লতিব সরদারের ছেলে মো. ইলিয়াছ সরদার (৩৫), বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রামের বাদশা শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৪৫), একই উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আকমলের ছেলে সোহাগ (৪১), নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী থানার পাথড়া গ্রামের বিনোদ সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার (৩২) ও কিশোরগঞ্জ জেলার নানদাইল থানার পূর্বধলা গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (৪৫)। তাদের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার লখাইড়চর গ্রামের মো. ঝিল্লু কাজীর বাড়ির গোয়াল থেকে একটি গাভি ও একটি বাছুর ট্রাকে তুলে পালিয়ে যাচ্ছিল চোর চক্রের আটজন। ট্রাকটি উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে পৌঁছালে স্থানীদের সন্দেহ হয়। তারা ওই ব্যক্তিদের ট্রাক থেকে নামিয়ে গণপিটুনি দিয়ে ফেলে রাখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামিম মিয়া মারা যান।
তিনি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ