গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকায় হানিওয়েল গার্মেন্টস লিমিটেডের কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার সকালে কারখানার মূল ফটকে বন্ধের নোটিশ সাঁটানো হয়, যা দেখে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। এ খবর লেখার সময় (১টা ৩০ মিনিট) পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

হানিওয়েল গার্মেন্টস লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফাইনান্স) স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গতকাল সোমবার কারখানার শ্রমিকেরা কিছু অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেন। তাঁরা কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করেন। কারখানার নির্ধারিত রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ বারবার শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বললেও তাঁরা কথা শোনেননি। শ্রমিকদের এই আচরণ অবৈধ ধর্মঘটের মধ্যে পড়ে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে নোটিশে জানানো হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

এদিকে শ্রমিকেরা আজ সকালে কারখানার গেটে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাঁরা মিতালি ক্লাব থেকে কোনাবাড়ী নতুন বাজারের শাখা রোডটি বন্ধ করে দেন। এ সময় তাঁরা সব ধরনের যানবাহন ফিরিয়ে দেন এবং অনেক যানবাহনের চালকের সঙ্গে তর্কবিতর্কও করেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২, কোনাবাড়ী জোনের পরিদর্শক মো.

মোর্শেদ জামান বলেন, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খেলার মাঠে অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর এক শিক্ষার্থীর এক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম আরিফুল ইসলাম ওরফে সাকিব। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া দ্বীপে।

আরিফুলের সহপাঠীরা জানান, গতকাল বিকেলে ক্যাম্পাসের একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন আরিফুল। একপর্যায়ে মাঠেই বমি করেন তিনি। এরপর সহপাঠীরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফুলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন এক শোকবার্তায় আরিফুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

আরিফুলের সহপাঠী মো. মুবতাসিম ফয়েজ বলেন, হাতিয়ায় অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আরিফুল উঠে এসেছেন। আরিফুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন আগে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বোন যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। তাই সব সময় হাতিয়ার স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থাসহ নানা বিষয়ে আলাপ করতেন। এলাকার শিক্ষা-চিকিৎসা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। এর আগেই তাঁর মৃত্যু হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আরিফুলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ