চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর এক শিক্ষার্থীর এক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম আরিফুল ইসলাম ওরফে সাকিব। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া দ্বীপে।

আরিফুলের সহপাঠীরা জানান, গতকাল বিকেলে ক্যাম্পাসের একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন আরিফুল। একপর্যায়ে মাঠেই বমি করেন তিনি। এরপর সহপাঠীরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফুলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো.

কামাল উদ্দিন এক শোকবার্তায় আরিফুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

আরিফুলের সহপাঠী মো. মুবতাসিম ফয়েজ বলেন, হাতিয়ায় অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আরিফুল উঠে এসেছেন। আরিফুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন আগে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বোন যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। তাই সব সময় হাতিয়ার স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থাসহ নানা বিষয়ে আলাপ করতেন। এলাকার শিক্ষা-চিকিৎসা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। এর আগেই তাঁর মৃত্যু হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আরিফুলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানার ও টিউলিপের মামলায় রায় ১ ডিসেম্বর

ছবি: শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিক। ফাইল ছবি

ক্যাপশন:

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, তাঁর মেয়ে যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে।

মামলায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। পরে ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খান মো. মঈনুল হাসান বলেন, আজ এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। মামলার গ্রেপ্তার থাকা আসামি রাজউকের সদস্য খুরশীদ আলমকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্ক শুনানিতে এই আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক। তাই তাঁরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ পাচ্ছেন না। পরে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

১৮ নভেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। মামলায় মোট ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

গত ৩১ জুলাই এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। অভিযোগ গঠনের সময় পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬টি মামলা করে দুদক। এই মামলাগুলোর মধ্যে একটির রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ