১. তাঁরা নিয়মিত পাশে থাকেন

যেসব পুরুষ নীরবে গভীরভাবে ভালোবাসেন, তাঁরা ভালোবাসার মানুষের শুধু ভালো সময়ে নয়; প্রয়োজনের মুহূর্তে, ব্যস্ততম দিনে, এমনকি ঝামেলার মধ্যেও পাশে থাকেন।

প্রিয়জনের পরীক্ষা, ভাইভার দিন কিংবা চাকরির ইন্টারভিউয়ের মুহূর্তে তিনি প্রথমেই মনে রাখেন, বার্তা দেন, ‘চিন্তা কোরো না, তুমি পারবে।’

প্রিয় মানুষটি যদি ব্যস্ত থাকেন, তিনি বিরক্ত হন না; বরং শান্তভাবে বলেন, ‘তোমার কাজটা আগে করো, পরে কথা হবে।’

ডেটে যাওয়ার মতো বড় পরিকল্পনা না থাকলেও তিনি চেষ্টা করেন সপ্তাহে অন্তত এক দিন সময় বের করে দেখা করতে। যেমন কোনো ফুচকার দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে মিনিট দশেক আড্ডা অথবা হাঁটতে হাঁটতে কথা বলা।

প্রিয়জনের পরিবারের বিপদ-আপদে দেখবেন ঠিকই তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাস্তায় কোনো সভা-সমাবেশ থাকলে আগেভাগেই জানিয়ে সতর্ক করে দেন। ভালোবাসা কিন্তু এক দিনের বড় রোমান্টিক মুহূর্তে নয়; বরং এ রকম ছোট ছোট যত্নের মধ্যেই গড়ে ওঠে। এই ধারাবাহিক পাশে থাকা ধীরে ধীরে বিশ্বাস তৈরি করে।

আরও পড়ুনএই ৫ প্রশ্নে বুঝবেন, আপনাদের ভালোবাসা কতখানি গভীর০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫২.

তাঁরা ছোট ছোট বিষয় মনে রাখেন

যেসব পুরুষ নীরবে ভালোবাসেন, তাঁরা প্রিয়জনের ছোট ছোট বিষয় কখনোই ভুলে যান না। এসব খুঁটিনাটি তাঁদের কাছে গুরুত্ব পায়; কারণ, আপনি তাঁর কাছে বিশেষ একজন। যেমন প্রিয়জন সকালে চা না খেলে মাথা ধরে, তাই তিনি নিয়মিত জিজ্ঞেস করেন, ‘চা খেয়েছ?’কোন দোকানের লাচ্ছিটা প্রিয়জন বেশি পছন্দ করেন, তা তিনি মনে রাখেন, সুযোগ পেলে নিয়ে আসেন। ওষুধ বা প্রয়োজনীয় কিছু সময়মতো খাওয়ার কথা তিনি মনে করিয়ে দেন।

প্রিয়জন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চাইলে গুরুত্ব দিয়ে উত্তর দেন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র য়জন

এছাড়াও পড়ুন:

খেলার মাঠে অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর এক শিক্ষার্থীর এক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম আরিফুল ইসলাম ওরফে সাকিব। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া দ্বীপে।

আরিফুলের সহপাঠীরা জানান, গতকাল বিকেলে ক্যাম্পাসের একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন আরিফুল। একপর্যায়ে মাঠেই বমি করেন তিনি। এরপর সহপাঠীরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফুলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন এক শোকবার্তায় আরিফুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

আরিফুলের সহপাঠী মো. মুবতাসিম ফয়েজ বলেন, হাতিয়ায় অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আরিফুল উঠে এসেছেন। আরিফুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন আগে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বোন যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। তাই সব সময় হাতিয়ার স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থাসহ নানা বিষয়ে আলাপ করতেন। এলাকার শিক্ষা-চিকিৎসা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। এর আগেই তাঁর মৃত্যু হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আরিফুলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ