চট্টগ্রামের ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদকে রাজশাহী, স্ত্রী তামান্নাকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর
Published: 25th, November 2025 GMT
চট্টগ্রামের ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে রাজশাহী কারাগারে এবং তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তাঁদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পৃথক কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি গতকাল সোমবার জানাজানি হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রীকে পৃথক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৭টি মামলা রয়েছে। তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, স্বামীকে ‘বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে’ ছাড়িয়ে আনবেন। তাঁর পোস্টটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ তামান্নাকেও পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার করে।
ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ আলী খানের শিষ্য। ছোট সাজ্জাদ কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর অনুসারী মোহাম্মদ রায়হান ও মোবারক হোসেন চট্টগ্রাম শহর ও রাউজানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। সাজ্জাদ আলীর প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার বাবলাকে ৫ নভেম্বর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লার গণসংযোগে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলে নিহত হন সরোয়ার। এরশাদ উল্লাহসহ আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় করা মামলায় বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ; রায়হান ও মোবারককে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি করা হলে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। পরে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা পুলিশকে জানায় সরোয়ারকে লক্ষ্য করেই গুলি করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। সাজ্জাদের নির্দেশেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম কারাগারে বসেই মুঠোফোনে নিজ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ছোট সাজ্জাদ যোগাযোগ করে আসছিলেন এমন অভিযোগ রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ইকবাল হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সন ত র স
এছাড়াও পড়ুন:
খেলার মাঠে অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর এক শিক্ষার্থীর এক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম আরিফুল ইসলাম ওরফে সাকিব। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া দ্বীপে।
আরিফুলের সহপাঠীরা জানান, গতকাল বিকেলে ক্যাম্পাসের একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন আরিফুল। একপর্যায়ে মাঠেই বমি করেন তিনি। এরপর সহপাঠীরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরিফুলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন এক শোকবার্তায় আরিফুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আরিফুলের সহপাঠী মো. মুবতাসিম ফয়েজ বলেন, হাতিয়ায় অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আরিফুল উঠে এসেছেন। আরিফুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন আগে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বোন যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। তাই সব সময় হাতিয়ার স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থাসহ নানা বিষয়ে আলাপ করতেন। এলাকার শিক্ষা-চিকিৎসা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। এর আগেই তাঁর মৃত্যু হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আরিফুলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।