জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিজেদের হাতে রাখতে চায় এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সেবা নিজেদের হাতে রাখার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে পত্রালাপ করবে ইসি।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকাররের আমলে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। তখন এর উপজাত হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ভোটারদের এনআইডি দিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগ সরকার এনআইডি সেবা ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য ২০২৩ সালে আইনে সংশোধনীও আনা হয়। তবে ওই আইন এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো.

সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ইসির বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন নিয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়। আইনে সংশোধনী আনা হলেও এখনো তা বলবৎ হয়নি, প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। গত নির্বাচন কমিশনের সময় এই আইন আগের অবস্থায় ফেরত নেওয়ার বিষয়ে একটি প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। ইসি থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর একটি পত্রও পাঠানো হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় কমিশনের আজকের বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সিদ্ধান্ত আকারে পত্রালাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইসিতে জনবল, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। ইসি মনে করে, এই সেবা নিয়ে যাওয়া সংগত হবে না। তথ্যভান্ডারটি ইসির নিজস্ব।

ইসির বৈঠকে বিশেষ এলাকায় ভোটার অন্তর্ভুক্তিতে ভোগান্তি কমাতে উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান আবুল ফজল। তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধনের উদ্যোগ শুরু হচ্ছে। তিনি বলেন, মাঠপর্যায় কিছু ‘ফিডব্যাক’ তাঁরা পেয়েছেন। বিশেষ তথ্য ফরম–২ পূরণ করতে গিয়ে সাধারণ নাগরিকেরা ভোগান্তি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়ছেন। এটি সহজ করা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

ভর্তির দরকারি তারিখ—

১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।

২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।

৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।

ভর্তির যোগ্যতা—

১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd

ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —

১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।

২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।

৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—

১. দুই কপি ছবি।

২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।

৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।

ভর্তি ও অন্যান্য ফি—

অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,

রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,

কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,

একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,

ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,

পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,

প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,

মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।

বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।

২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।

৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।

# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • সঞ্চয়পত্র কেনার পর যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন