রাশিয়ার হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম যিনি গণতান্ত্রিকভাবে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন
Published: 11th, July 2025 GMT
রাশিয়ার হাজার বছরের ইতিহাসে নানাভাবে শাসকেরা ক্ষমতায় এসেছেন। রুশ সম্রাট—জারেরা সিংহাসনে বসেছেন জন্মসূত্রে। বিপ্লব ক্ষমতায় এনেছিল ভ্লাদিমির লেনিনকে। কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ। তবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রথম রুশ নেতা ছিলেন বোরিস ইয়েলৎসিন। ৩৫ বছর আগে ১০ জুলাই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
বোরিস ইয়েলৎসিনের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন বহু উত্থান–পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল। প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকাকালে হয়েছেন নিন্দিত–নন্দিত। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্রতিরোধে ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে তাঁর দেওয়া ভাষণ আজও স্মরণীয়–প্রশংসিত। আবার তাঁর নির্দেশেই রুশ পার্লামেন্টে ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়া হয়েছিল।
ইয়েলৎসিন ছিলেন একজন প্রকৌশলী। রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি ৩০ বছর বয়সে—১৯৬১ সালে। ওই বছর সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৭৬ সালে জন্মস্থান সভের্দলোভস্ক (বর্তমান ইয়েকাতেরিনবার্গ) অঞ্চলে দলের সম্পাদক হন ইয়েলৎসিন। তখন স্তাভরোপোল শহরে কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক ছিলেন গর্বাচেভ। রাজনৈতিক সূত্রে সে সময় দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়।
রুশ সামরিক বাহিনী চেচনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা চালায়। এতে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। হাজার হাজার মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হন।গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হন ১৯৮৫ সালে। ওই বছর তিনি ইয়েলৎসিনকে মস্কোয় দলীয় কাঠামোয় দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব দেন। পরের বছরই তাঁকে দলের পলিটব্যুরোর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন গর্বাচেভ। পরে গর্বাচেভের সংস্কারের গতি নিয়ে সমালোচনা করায় ১৯৮৭ সালে তাঁকে দলের মস্কোর নেতৃত্ব এবং ১৯৮৮ সালের পলিটব্যুরো থেকে পদত্যাগ করতে হয়।
১৯৮৯ সালে আবার রাজনীতিতে ফিরে আসেন ইয়েলৎসিন। এরই মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থা চালু করেছিলেন গর্বাচেভ। নতুন গঠন করা সোভিয়েত পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পান ইয়েলৎসিন। ১৯৯০ সালে রাশিয়ার পার্লামেন্টেও বড় জয় পান তিনি। আর ১৯৯১ সালের জুনে ইয়েলৎসিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ওই বছরের ১০ জুলাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি।
সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের সঙ্গে বোরিস ইয়েলৎসিন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট-১ আসনে আরিফুল হকের নির্বাচনী প্রচার
আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা। সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েছেন দুইবার। বর্তমানে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে সব সময় রহস্য রেখে কথা বলতেন আরিফুল হক। তবে গতকাল শুক্রবার তিনি বিষয়টি খোলাসা করেছেন।
নগরীর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন আরিফুল হক। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
নামাজ শেষে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে আরিফুল হক বলেন, ‘এম সাইফুর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন। মসজিদটির উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’
আরিফুল হক জুমা শেষে ‘ইজাজত’ নিয়ে প্রচার শুরুর কথা মুসল্লিদের জানান। দল চাইলে তিনি সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে মন্তব্য করেন। যদিও বক্তব্যে আরিফুল হক এ আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চান বলে জানান।
আরিফুল হক জানান, কোনো কারণে তারেক রহমান এখানে আসতে না চাইলে তিনি নির্বাচন করবেন। পরে সমকালকে সাবেক এ মেয়র বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সিলেটের মুরুব্বিয়ানসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে ইজাজত নিয়ে প্রচার শুরু করেছি।’