রাশিয়ার হাজার বছরের ইতিহাসে নানাভাবে শাসকেরা ক্ষমতায় এসেছেন। রুশ সম্রাট—জারেরা সিংহাসনে বসেছেন জন্মসূত্রে। বিপ্লব ক্ষমতায় এনেছিল ভ্লাদিমির লেনিনকে। কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ। তবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রথম রুশ নেতা ছিলেন বোরিস ইয়েলৎসিন। ৩৫ বছর আগে ১০ জুলাই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।

বোরিস ইয়েলৎসিনের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন বহু উত্থান–পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল। প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকাকালে হয়েছেন নিন্দিত–নন্দিত। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্রতিরোধে ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে তাঁর দেওয়া ভাষণ আজও স্মরণীয়–প্রশংসিত। আবার তাঁর নির্দেশেই রুশ পার্লামেন্টে ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়া হয়েছিল।

ইয়েলৎসিন ছিলেন একজন প্রকৌশলী। রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি ৩০ বছর বয়সে—১৯৬১ সালে। ওই বছর সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৭৬ সালে জন্মস্থান সভের্দলোভস্ক (বর্তমান ইয়েকাতেরিনবার্গ) অঞ্চলে দলের সম্পাদক হন ইয়েলৎসিন। তখন স্তাভরোপোল শহরে কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক ছিলেন গর্বাচেভ। রাজনৈতিক সূত্রে সে সময় দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়।

রুশ সামরিক বাহিনী চেচনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা চালায়। এতে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। হাজার হাজার মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হন।

গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হন ১৯৮৫ সালে। ওই বছর তিনি ইয়েলৎসিনকে মস্কোয় দলীয় কাঠামোয় দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব দেন। পরের বছরই তাঁকে দলের পলিটব্যুরোর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন গর্বাচেভ। পরে গর্বাচেভের সংস্কারের গতি নিয়ে সমালোচনা করায় ১৯৮৭ সালে তাঁকে দলের মস্কোর নেতৃত্ব এবং ১৯৮৮ সালের পলিটব্যুরো থেকে পদত্যাগ করতে হয়।

১৯৮৯ সালে আবার রাজনীতিতে ফিরে আসেন ইয়েলৎসিন। এরই মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থা চালু করেছিলেন গর্বাচেভ। নতুন গঠন করা সোভিয়েত পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পান ইয়েলৎসিন। ১৯৯০ সালে রাশিয়ার পার্লামেন্টেও বড় জয় পান তিনি। আর ১৯৯১ সালের জুনে ইয়েলৎসিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ওই বছরের ১০ জুলাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি।

সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের সঙ্গে বোরিস ইয়েলৎসিন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ