বন্দরে মোটর সাইকেল তল্লাশি চালিয়ে ৫ কেঁজি ৭'শ গ্রাম গাঁজাসহ হাফেজ মোঃ তামিম ইকবাল (২২) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দরে র‌্যাব-১১। ধৃত মাদক ব্যবসায়ী হাফেজ মোঃ তামিম ইকবাল ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া (ত্রিমহনী) গোড়না এলাকার লোকমান বক্স মিয়ার ছেলে। 

মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাব-১১ নায়েক সুবেদার মোঃ মহিদুর রহমান বাদী হয়ে রোববার (১২ জানুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা ১২(১)২৫। 

গ্রেপ্তারকৃতকে রোববার (১২ জানুয়ারি)  দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরস্থ রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে ঢাকাগামী ঢাকা মেট্রো ল ১৪-৭৫৮২ নাম্বার মোটর সাইকেল তল্লাশি চালিয়ে উল্লেখিত গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব-১১ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হাফেজ তামিম ইকবাল দীর্ঘ দিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মদনপুর এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকাগামী পালসার মোটর সাইকেল তল্লাশি চালিয়ে তাকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ