পারমাণবিক ইস্যুতে ‘গঠনমূলক’ বৈঠক হয়েছে, জানাল ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিরা
Published: 14th, January 2025 GMT
ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো জানিয়েছে, তেহরানের পারমাণবিক ইস্যুতে গতকাল সোমবার দুই পক্ষের ‘খোলামেলা ও গঠনমূলক’ বৈঠক হয়েছে। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার সপ্তাহখানেক আগে পারমাণবিক ইস্যুতে বৈঠকে বসল ইরান ও ইউরোপ।
গত দুই মাসের মধ্যে এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন বৈঠকে বসল ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিরা। এর আগে নভেম্বরের শেষ দিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইরানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল তিন ইউরোপীয় শক্তি (ই-৩ নামে পরিচিত) যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।
সোমবারের বৈঠকের বিস্তারিত সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে। বৈঠকস্থল নিয়েও খোলামেলাভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে দুই পক্ষই বলছে, বৈঠক ‘গঠনমূলক’ হয়েছে। সবাই আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
ইরানের সংবাদমাধ্যম আইএসএনএ জানায়, দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাখানচি ইউরোপের তিন দেশের (ই-৩) উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। বিস্তারিত না জানিয়ে আইএসএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারস্পরিক স্বার্থ, বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার কৌশল, পারমাণবিক বিষয়াবলি এবং উদ্বেগজনক আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন।
পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিষয়-সম্পর্কিত ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘাড়িবাবাদী এক্স পোস্টে বলেন, বৈঠকটি ‘গুরুগম্ভীর, খোলামেলা ও গঠনমূলকভাবে’ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পারমাণবিক ইস্যুতে একটি চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুনইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ১১ জানুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ইরান কি পারমাণবিক বোমা বানাবে১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতিনিধিরা এক্সে দেওয়া পোস্টে বৈঠক ‘গুরুত্বপূর্ণ, খোলামেলা ও গঠনমূলক’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘একটি চ্যালেঞ্জিং প্রেক্ষাপটে আমরা উদ্বেগ নিয়ে কথা বলেছি এবং কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি। সেই সঙ্গে আমরা সংলাপ চালিয়ে যেতেও সম্মত হয়েছি।’
বৈঠকের আগে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এএফপিকে জানিয়েছিল, এটা নিছকই একটি বৈঠক। কোনো কূটনৈতিক আলোচনা নয়। অন্যদিকে ইরানের পক্ষ থেকে একে ‘পরামর্শ সভা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ফেরার মধ্য দিয়ে ইরানের পরামাণবিক ইস্যু নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে সই হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনকি ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বদলে তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমারা।
আরও পড়ুনপারমাণবিক সক্ষমতা আরও বাড়াচ্ছে ইরান: আইএইএ১৪ জুন ২০২৪আরও পড়ুননতুন করে ইরানের সামরিক বহরে যুক্ত হলো এক হাজার ড্রোন১৬ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।