‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি
Published: 14th, January 2025 GMT
নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন।
এদিন দুপুরে নিশিকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। রিমান্ড শুনানিকালে তাকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়। আদালতে ওঠার সময় লিফটের সামনে নিশি বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা আসবে। জয় বাংলা। আমাকে একা গ্রেপ্তার করতে পারেন, বাকিদের কী করবে?’’
এরপরই লিফটের সামনে থাকা আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন ছাত্রলীগের আলোচিত এই নেত্রী। এ সময় তাকে লিফটে উঠতে বাধা দেন আইনজীবীরা। পরে তাকে সিঁড়িতে করে আদালতের ৯ তলায় এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর
পাবনায় হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, নিশিকে মারধর করা হয়েছে। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামানোর সময় নিশি বলেন, ‘‘এত ওপরে আমাকে হাঁটিয়ে নেওয়া হয়েছে।’’
এর আগে, সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে নিশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল