নারকেল হাঁসভুনা ও বিন্নি ভাত

উপকরণ

হাঁস ২ কেজি, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, টমেটোর টুকরা ২-৩টি, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল চামচ, পোস্তবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা জিরাবাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেবাটা ২ টেবিল চামচ, লাল শুকনা মরিচের বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ২ চা-চামচ, গোলমরিচের বাটা ১ চা-চামচ, জোয়ানবাটা আধা চা-চামচ, মেথিবাটা ১ চা-চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ, ছোট এলাচি ৫-৬টি, দারুচিনি ২-৩টি, লবঙ্গ ৫-৬টি, তেজপাতা ৪-৫টি, শর্ষের তেল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল একটির অর্ধেক (টুকরা করা)।

প্রণালি

হাঁস চামড়াসহ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মসলাগুলো শিলপাটায় পিষে নিতে হবে। নারকেল, কাঁচা মরিচ ও টমেটো ছাড়া বাকি উপকরণ একসঙ্গে মাংসের সঙ্গে ভালো করে মেখে নিন। পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে। পানি টেনে ঝোল ঘন হয়ে মাখা মাখা হয়ে এলে কাঁচা মরিচ, টমেটো দিয়ে নামাতে হবে।

বাগারের উপকরণ

সয়াবিন তেল সিকি কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কয়েকটি।

প্রণালি

অন্য ফ্রাই প্যানে প্রথমে তেল ও ঘি দিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিতে হবে। এরপর কাঁচা মরিচ দিন। হাঁসের মাংসে বাগার দিয়ে দিন। আরেকবার নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন।

আরও পড়ুনবিরিয়ানিতে পড়ল হাঁস, বদলে গেল পুরো স্বাদ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

বিন্নি ভাতের উপকরণ

বিন্নি ধানের চাল ১ কেজি, তেজপাতা পরিমাণমতো, দারুচিনি কয়েকটি, লবণ পরিমাণমতো, কোরানো নারকেল একটি।

প্রণালি

বিন্নি চাল ধুয়ে ৫-৬ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সব উপকরণ মেখে ভাপে (ডাবল বয়লার) রান্না করে গরম হাঁস ভুনার সঙ্গে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুনদেখুন হাঁসের নাগা রোস্টের রেসিপি১০ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা

মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।

এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহারে চার পদ
  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা