Samakal:
2025-08-01@21:53:13 GMT

ছেলেদের ডেনিম

Published: 14th, January 2025 GMT

ছেলেদের ডেনিম

ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান। আবহাওয়া বার্তা অনুযায়ী ঢাকায় বাড়তে পারে শীতের দাপট। এখন শহরে হালকা শীত বিদ্যমান। এ সময়টায় আরামের জন্য বেছে নিতে পারেন ডেনিমের জ্যাকেট, শার্ট ইত্যাদি। ডেনিম শুধু আরামদায়ক ও টেকসই নয়, বরং এটি ফ্যাশনপ্রেমীর জন্য আদর্শও বটে। শীতের দিনে উষ্ণতা ও স্টাইল ধরে রাখতে ডেনিম হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।
শীতে ডেনিম কেন বেছে নেবেন?
ডেনিম কাপড়ের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর ঘন এবং মজবুত বুনন, যা শীতকালে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। এটি শীতল হাওয়া প্রতিরোধ করে এবং লেয়ারিংয়ের জন্যও বেশ ভালো। একদিকে ডেনিমের ক্ল্যাসিক লুক, অন্যদিকে আরামের নিশ্চয়তা– এ দুই গুণের সমন্বয়েই এটি সবার কাছে জনপ্রিয়। ডেনিমের আরেকটি সুবিধা হলো এটি প্রায় সব ধরনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। 
শীতকালে আমরা এমন পোশাক খুঁজি, যা একাধারে টেকসই, আরামদায়ক ও স্টাইলিশ। ডেনিম এ তিনটি বৈশিষ্ট্যই পূরণ করে। বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরিতে ডেনিম কাপড় ব্যবহার করা হয়, যা ছেলেদের স্টাইল স্টেটমেন্টে নতুন মাত্রা যোগ করে।
প্রতিদিনের সঙ্গী ডেনিম জ্যাকেট
শীতে ছেলেদের পোশাকের তালিকায় ডেনিম জ্যাকেট প্রথম সারিতে থাকে। এটি স্টাইলিশ ও বহুমুখী, যা বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়। ফ্ল্যানেল শার্ট বা টার্টলনেকের ওপর ডেনিম জ্যাকেট পরলে স্টাইলের পাশাপাশি উষ্ণতাও বজায় থাকে।
ডেনিম জ্যাকেটের আরেকটি ভালো দিক হলো, এটি কখনও ফ্যাশন থেকে পুরোনো হয় না। ক্ল্যাসিক ব্লু, ব্ল্যাক বা গ্রে রঙের জ্যাকেট সব সময়ই আভিজাত্যের ছাপ রাখে।  জ্যাকেটের ভেতরে ফার বা উলের আস্তর থাকলে এটি শীতের ঠান্ডা মোকাবিলায় আরও উপকারী হয়।
ডেনিম জিন্স
ডেনিম জিন্স এমন একটি পোশাক, যা সারাবছর ব্যবহার করা যায়, তবে শীতকালে এটি বেশি কার্যকর। মজবুত এবং আরামদায়ক হওয়ায় এটি লম্বা সময় ধরে পরার জন্য উপযুক্ত। ডার্ক ব্লু বা ব্ল্যাক ডেনিম জিন্স শীতের ফ্যাশনে একটি স্মার্ট এবং পরিপাটি লুক নিয়ে আসে। শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় হালকা কোট বা সোয়েটারের সঙ্গে ডেনিম জিন্স বেশ মানানসই। এটি শুধু আরামই দেয় না, বরং আধুনিকতার পরিচায়কও। শীতের ছুটিতে বা ভ্রমণে ডেনিম জিন্স সবসময় সঙ্গী হতে পারে।
লেয়ারিংয়ে ডেনিম
শীতকালে লেয়ারিং একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। ডেনিম শার্ট বা জ্যাকেট ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি স্টাইলিশ লেয়ারিং লুক তৈরি করতে পারেন। একটি সাদা টি-শার্টের ওপর একটি ডেনিম জ্যাকেট– এই কম্বিনেশন আপনাকে দারুণ লুক এনে দেবে। আরেকটি হচ্ছে, একটি সাদা টি-শার্টের ওপর ডেনিম শার্ট এবং তার সঙ্গে একটি ওভারকোট– এই কম্বিনেশনটি আপনাকে উষ্ণতার পাশাপাশি আধুনিক লুক দেবে। ডেনিম শার্ট একা পরেও খুব সুন্দর লাগে। হালকা শীতের দিনের জন্য ডেনিম শার্ট একটি আদর্শ পছন্দ। 
আনুষঙ্গিক ডেনিম
ডেনিম শুধু জ্যাকেট বা জিন্সেই সীমাবদ্ধ নয়। শীতের ফ্যাশনে ডেনিমের ক্যাপ, স্নিকার, বা ব্যাগও বিশেষ ভূমিকা রাখে। এগুলো আপনার পুরো লুককে আরও স্টাইলিশ করে তুলতে পারে। ডেনিমের ক্যাপ বা হুডি আপনার মাথাকে ঠান্ডা থেকে সুরক্ষিত রাখবে এবং একই সঙ্গে আপনার স্টাইলকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
ডেনিমের সঠিক ব্যবহার
ডেনিম একটি টেকসই এবং বহুমুখী কাপড় হলেও, এর সঠিক ব্যবহার এবং যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• শীতকালে ঘন ঘন ধোয়ার প্রয়োজন নেই। এতে কাপড়ের গুণাগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে।
 • ডেনিম ধোয়ার সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং সূর্যের সরাসরি আলো থেকে দূরে শুকাতে দিন।
• ডেনিম জ্যাকেট বা জিন্স ব্যবহারের পরে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।
• ডেনিমের স্থায়িত্ব বাড়াতে বিশেষ ধরনের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ