Samakal:
2025-05-01@14:08:30 GMT

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কেন খাবেন

Published: 15th, January 2025 GMT

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কেন খাবেন

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে; কিন্তু সব চর্বি অস্বাস্থ্যকর নয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বিষণ্নতা, ক্যান্সার, ডিমেনশিয়া ও আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ছাড়া মানবদেহে খাবারের বিপাকক্রিয়া ও শরীর সুস্থ রাখতে ওমেগা-৩ চর্বির বিকল্প নেই।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়

স্যামন মাছ, ওয়াল নাট, বাদাম স্পাইনাক, পাতা শাক ইত্যাদি খাবারে। আমাদের দেশে ইলিশ মাছেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। ইলিশ মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে সামুদ্রিক মাছ স্যামন ও টুনা মাছ খাওয়া যেতে পারে। মাছ থেকে যে ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়, তা ডিএইচএ এবং ইপিএ নামে পরিচিত, যার স্বাস্থ্য উপকারিতাও বেশি। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের আরেকটি রূপ হলো এএলএ, যা ভেজিটেবল অয়েল, ওয়াল নাট বা বাদাম, গাঢ় পাতাযুক্ত শাক, যেমন– স্পাইনাকে পাওয়া যায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্তনালি, জয়েন্ট এবং অন্য স্থানের প্রদাহ কমিয়ে রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রক্তনালিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি, যেমন– অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্তনালিতে প্ল্যাক গঠন প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কোলন ক্যান্সার, ক্যান্সার এবং প্রস্টেট, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। মেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে।

যদি আপনি মাছ খেতে না চান, তাহলে ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্টস বা সম্পূরক খাবার গ্রহণ করতে পারেন। ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্টস ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়। যাদের হৃদরোগ আছে, তাদের দৈনিক এক গ্রাম গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এটি শুরু করার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। 

উপকারী ফ্যাটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ছাড়া ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। ওমেগা-৬ ফ্যাট ভেজিটেবল অয়েল ও বাদাম, যেমন– কাঠবাদামে পাওয়া যায়। পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয়, ইলিশ মাছ খেলে আর যা-ই হোক, হৃদরোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে। তবে যাদের রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো মাছ বা প্রোটিনজাতীয় খাবার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি খাওয়া ঠিক নয়। কিডনি রোগী ছাড়া অন্য সবাই যতদূর সম্ভব ইলিশ মাছ খান এবং সুস্থ থাকুন।

লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এস ড র

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ