Samakal:
2025-09-18@02:33:54 GMT

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কেন খাবেন

Published: 15th, January 2025 GMT

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কেন খাবেন

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে; কিন্তু সব চর্বি অস্বাস্থ্যকর নয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বিষণ্নতা, ক্যান্সার, ডিমেনশিয়া ও আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ছাড়া মানবদেহে খাবারের বিপাকক্রিয়া ও শরীর সুস্থ রাখতে ওমেগা-৩ চর্বির বিকল্প নেই।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়

স্যামন মাছ, ওয়াল নাট, বাদাম স্পাইনাক, পাতা শাক ইত্যাদি খাবারে। আমাদের দেশে ইলিশ মাছেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। ইলিশ মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে সামুদ্রিক মাছ স্যামন ও টুনা মাছ খাওয়া যেতে পারে। মাছ থেকে যে ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়, তা ডিএইচএ এবং ইপিএ নামে পরিচিত, যার স্বাস্থ্য উপকারিতাও বেশি। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের আরেকটি রূপ হলো এএলএ, যা ভেজিটেবল অয়েল, ওয়াল নাট বা বাদাম, গাঢ় পাতাযুক্ত শাক, যেমন– স্পাইনাকে পাওয়া যায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্তনালি, জয়েন্ট এবং অন্য স্থানের প্রদাহ কমিয়ে রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রক্তনালিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি, যেমন– অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্তনালিতে প্ল্যাক গঠন প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কোলন ক্যান্সার, ক্যান্সার এবং প্রস্টেট, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। মেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে।

যদি আপনি মাছ খেতে না চান, তাহলে ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্টস বা সম্পূরক খাবার গ্রহণ করতে পারেন। ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্টস ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়। যাদের হৃদরোগ আছে, তাদের দৈনিক এক গ্রাম গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এটি শুরু করার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। 

উপকারী ফ্যাটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ছাড়া ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। ওমেগা-৬ ফ্যাট ভেজিটেবল অয়েল ও বাদাম, যেমন– কাঠবাদামে পাওয়া যায়। পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয়, ইলিশ মাছ খেলে আর যা-ই হোক, হৃদরোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে। তবে যাদের রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো মাছ বা প্রোটিনজাতীয় খাবার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি খাওয়া ঠিক নয়। কিডনি রোগী ছাড়া অন্য সবাই যতদূর সম্ভব ইলিশ মাছ খান এবং সুস্থ থাকুন।

লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এস ড র

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ