‘আমার সঙ্গে লাগতে আইসো না’, সাব্বিরকে তামিম
Published: 16th, January 2025 GMT
বিপিএলের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে আজ জন্ম নেয় এক বিতর্কিত ঘটনা। ফরচুন বরিশাল ও ঢাকা ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচে নবম ওভারে তামিম ইকবাল এবং সাব্বির রহমানের মধ্যে ঘটে এই বাক্য বিনিময়। বরিশাল ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করছিল। ঠিক তখনই সাব্বিরকে উদ্দেশ করে তামিম বলেন, ‘ আমার সঙ্গে লাগতে আইসো না।’
দ্বিতীয় ইনিংসে নবম ওভার চলছে তখন। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল বরিশাল। দাভিদ মালানের সঙ্গে তামিম ইকবালের জুটিও জমে গিয়েছিল রীতিমতো। চতুরঙ্গা ডি সিলভার করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলটা তামিম লং অনে পাঠিয়ে তুলে নিয়েছিলেন একটি রান। তবে সাব্বিরের ফিল্ডিং নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তামিম। বাউন্ডারি লাইনে সাব্বির বলটা হাতে নিতে পারেননি ঠিকঠাক। তা চলে আসে সামনে।
সেটাই তামিমের কাছে বেখাপ্পা মনে হয়। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় যাকে ‘ফেইক ফিল্ডিং’ হিসেবে ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাটার বিভ্রান্ত হয়ে রানের জন্য ক্রিজ ছাড়েন, আর তাতে রান আউটের সুযোগ তৈরি হয়। তামিমেরও তেমন কিছুই মনে হয়েছিল।
আর তাই সাব্বিরকে তিনি বলে বসেন, ‘বেশি লাগতে যায়ো না সাব্বির, বেশি লাগতে যায়ো না!’ এখানেই ক্ষান্ত হননি তামিম। সঙ্গে আরও কিছু বলেছিলেন যা ঠিক স্পষ্ট শোনা যায়নি।
ঘটনার পরপরই উত্তেজনা বেড়ে যায়। সাব্বির তামিমের দিকে এগিয়ে গেলে ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন। থিসারা সাব্বিরকে শান্ত রাখতে এগিয়ে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফিল্ড আম্পায়ারও ভূমিকা রাখেন।
এর আগে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছিলেন তামিম। যে কারণে তামিমকে পরে শাস্তিও পেতে হয়েছিল। মাঠে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তাকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল স ব ব র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।