বিপিএলের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে আজ জন্ম নেয় এক বিতর্কিত ঘটনা। ফরচুন বরিশাল ও ঢাকা ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচে নবম ওভারে তামিম ইকবাল এবং সাব্বির রহমানের মধ্যে ঘটে এই বাক্য বিনিময়। বরিশাল ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করছিল। ঠিক তখনই সাব্বিরকে উদ্দেশ করে তামিম বলেন, ‘ আমার সঙ্গে লাগতে আইসো না।’

দ্বিতীয় ইনিংসে নবম ওভার চলছে তখন। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল বরিশাল। দাভিদ মালানের সঙ্গে তামিম ইকবালের জুটিও জমে গিয়েছিল রীতিমতো। চতুরঙ্গা ডি সিলভার করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলটা তামিম লং অনে পাঠিয়ে তুলে নিয়েছিলেন একটি রান। তবে সাব্বিরের ফিল্ডিং নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তামিম। বাউন্ডারি লাইনে সাব্বির বলটা হাতে নিতে পারেননি ঠিকঠাক। তা চলে আসে সামনে।

সেটাই তামিমের কাছে বেখাপ্পা মনে হয়। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় যাকে ‘ফেইক ফিল্ডিং’ হিসেবে ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাটার বিভ্রান্ত হয়ে রানের জন্য ক্রিজ ছাড়েন, আর তাতে রান আউটের সুযোগ তৈরি হয়। তামিমেরও তেমন কিছুই মনে হয়েছিল। 

আর তাই সাব্বিরকে তিনি বলে বসেন, ‘বেশি লাগতে যায়ো না সাব্বির, বেশি লাগতে যায়ো না!’ এখানেই ক্ষান্ত হননি তামিম। সঙ্গে আরও কিছু বলেছিলেন যা ঠিক স্পষ্ট শোনা যায়নি। 

ঘটনার পরপরই উত্তেজনা বেড়ে যায়। সাব্বির তামিমের দিকে এগিয়ে গেলে ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন। থিসারা সাব্বিরকে শান্ত রাখতে এগিয়ে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফিল্ড আম্পায়ারও ভূমিকা রাখেন।

এর আগে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছিলেন তামিম। যে কারণে তামিমকে পরে শাস্তিও পেতে হয়েছিল। মাঠে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তাকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল স ব ব র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ