পনেরো দিন মেকআপ ব্যবহার না করলে ত্বকে যা ঘটে
Published: 17th, January 2025 GMT
মেকআপ এক ধরনের আর্ট। একজন চিত্রশিল্পী যেমন তার ক্যানভাস সাজিয়ে তোলেন মেকআপও তাই। মুখের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মেকআপের নিচে প্রকৃত চেহারা ঢাকা পড়ে যায়। সিনেমার নায়িকাদের কথাই একবার ভাবুন, মেকআপ ছাড়া তাদের দেখাই মেলে না। এর বাইরেও অনেকেই নিয়মিত মেকআপ ব্যবহার করেন। যারা নিয়মিত মেকআপ করেন তারা টানা ১৫ দিন মেকআপ ব্যবহার না করলে ত্বকে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
ত্বক সতেজ দেখাবে: মেকআপ-এর প্রলেপে ত্বকে সাময়িক জেল্লা আসে ঠিকই কিন্তু ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মেকআপ ব্যবহারের ফলে ত্বকের ছোট ছোট ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ত্বকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হয়। এর ফলে ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে: নিয়মিত মেকআপ ব্যবহারের ফলে ত্বকে তেলের নিঃসরণ বেড়ে যায়। মেকআপ ব্যবহারের ফলে ত্বক তেল চিটচিটে থাকে। টানা ১৫ দিন মেকআপ না করে দেখুন ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমে যাবে।
আরো পড়ুন:
আজ ‘স্পাইসি ফুড’ খাওয়ার দিন
যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সারা আলী খানের পরামর্শ
চোখের সংক্রমণ হবে না: মেকআপের সহযোগী টুলসগুলোর মধ্যে মাশকারা, কাজল, আইলাইনার-এর অত্যধিক ব্যবহারে চোখের নানা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এসব পণ্য ব্যবহারের ফলে চোখ জ্বালা করা, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো কিছু সমস্যা দেখা দেয়। কিছু দিন যদি চোখ সাজাতে এই প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারেন তাহলে চোখ সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
উল্লেখ্য, ফেমিনার তথ্য, মেকআপটি যদি আপনার ত্বক উপযোগী না হয় তাহলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেকআপ ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে মেকআপে প্রতিটি পণ্য ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এতে করে ত্বকের ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী